মাহে আলম মাহী: প্রায় দ্বিগুণ লাভে তৈরি পোশাক বিক্রির দায়ে ভোলা শহরের দুই ফ্যাশন হাউজকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বুধবার (৫ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় ভোলা সদর রোডের চন্দ্রবিন্দু ও বিন্দু ফ্যাশন হাউজে এ অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর ভোলার সহকারী পরিচালক মোঃ মাহমুদুল হাসান।

তিনি ভোলার বাণীকে বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এর অর্পিত ক্ষমতাবলে ও জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহায়তায় সদর রোডে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

“অভিযানে প্রায় দ্বিগুণ দামে তৈরি পোশাক বিক্রির দায়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”

পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে পোশাকের দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভীড়। আর সেই সুযোগে কিছু ব্যবসায়ী পোশাকের নির্ধারিত মূল্য তুলে দিয়ে মনগড়া মূল্য নির্ধারণের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, হিসাব করে দেখা যায় তাদের প্রায় প্রতিটি পণ্যে ক্রয়মূল্যের উপর ৮০ শতাংশ বাড়িয়ে বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর সাথে তারা “+ভ্যাট ” কথাটিও যোগ করেছে। কিন্তু কত শতাংশ ভ্যাট তা তারা উল্লেখ করেনি এবং সঠিক টাকার পরিমাণের ভ্যাটের কাগজ প্রদর্শন করতে পারেনি। বিন্দু ফ্যাসনে কাগজপত্র ঘেটে দেখা যায় মার্চ মাসের বিক্রয়কৃর টাকার বিপরীতে ভ্যাটের পরিনাম অনেক কম। তারা এ বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। অন্যদিকে তাদের লাভের মার্জিন এত বেশি কেন জিজ্ঞেস করলে সেটারও কোন যৌক্তিক উত্তর দিতে পারেনি। তারা বলছিল মূল্য তাদের হেড অফিস নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু চন্দ্রবিন্দু ফ্যাসন হাউজের কাছে মূল্য নির্ধারণের ব্লাংক স্টিকার পাওয়া গেছে।  এমতাবস্থায় চন্দ্রবিন্দু ও বিন্দু ফ্যাশন উভয়কে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৪৫ ধারায় ২০ হাজার করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। উভয়কেই তাদের প্রাইস্ট্যাগ সংশোধন করে লাভের মার্জিন ৪০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কাপড় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে তাদেরকে জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকারের নির্দেশনামূলক বার্তা দেওয়া হয়েছে ও লাভের ক্ষেত্রে যৌক্তিক হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অভিযানে ভোলা সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল সহায়তা করে বলে মাহমুদুল হাসান জানান।