সর্বশেষঃ

টিয়া পাখির আক্রমনে এড়াতে অস্থির কৃষকরা

ভোলায় সূর্যমুখির ভালো ফলনে খুঁশি কৃষক ॥ ভালো লাভের আশা

মোঃ হারুন আর রশীদ ॥ ভোলায় সূর্যমুখীর ভালো ফলন হওয়ায় ব্যাপক খুঁশি কৃষক। বাজারে এ তেলের চাহিদা বেশি ধাকায় ভালো লাভের আশা কৃষকদের। এখন কাটার অপেক্ষায় দিন গুনছে তারা। কৃষি বিভাগ বলছে ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটাতে সুর্যমূখি বড় ধরনের ভুমিকা রাখবে।
জানা গেছে, উপকুলীয় দ্বীপজেলা ভোলা ফসল উৎপাদনে অন্যান্য জেলার চেয়ে এগিয়ে। বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি ও মান সম্মত না হয়ায় ক্রেতারা স্বাস্থ্য সম্মত তেল ব্যাবহার থেকে মুখ কিছুটা মুখ ফিরিয়ে নিলেও সূর্যমুখি তেল ক্রেতাদের কাছে অতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তেল জাতীয় ফসলের মধ্যে সূর্যমুখি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন ফসল। স্বাস্থ্য সম্মত এ ভোজ্য তেলের চাহিদা রয়েছে প্রচুর। তবে টিয়া পাখির আক্রমনে ক্ষতি এড়াতে অস্থির কষকরা।


ভোলার বিভিন্ন খেতে শোভা পাচ্ছে সূর্যমুখির সমারোহ। দিনে দিনে মাঠ জুড়ে সূর্যমুখির হাসির আলোকছটা কৃষকদেরও নতুন সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে। বাড়ছে চাষের পরিধি। সূর্যমুখি তেলের চাহিদা বেশি থাকায় কৃষকরা ভালো লাভবান হওয়ার আশা করছে। দামও ভালো ফলনও ভালো।
কৃষি বিভাগের পাশাপাশি পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের সমন্বনিত কৃষি ইউনিটের আওতায় গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা ভোলায় বিভিন্ন কৃষককে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিনামূল্যে বীজ, জৈবসার ও আন্ত ফসল হিসাবে ধনিয়া ও সয়াবিনের বিজ প্রদান করে আসছে।
দৌলতখান উপজেলার জয়নগর গ্রামের চাষি মোঃ বাচ্চু মাঝি জানান, তাকে গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা থেকে সূর্যমুখির বিজের সাথে আন্ত:ফসল হিসেবে ধনিয়ার বিজ দিয়েছে। ৫০শতক জমিতে তিনি চাষ করেছেন, প্রথমেই ধনিয়া পাতা বিক্রি করে আগাম আয় করেছেন ২০ হাজার টাকা। এখন সূর্যমুখি কাটার অপেক্ষায় রয়েছে।


একইভাবে ওই এলাকার নাছির মাঝি, মিয়ার হাটের বিলকিস, নুরুন নাহার সূর্যমুখির বিজ আন্ত:ফসল হিসেবে সয়াবিন সহ নানাবিধ প্রয়োজনিয় মালামাল পেয়েছেন। ফলন ভালো হওয়ায় তার খুঁশি। বিজের মধ্যে রয়েছে হাইসান ৩৩, এডভান্টা সিট ও বারি ৩।
সংস্থার কৃষিবিদরা প্রতিনিয়ত মাঠে গিয়ে পরামর্শ ও দেখভাল করছে বলে জানান গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার উপ পরিচালক ডাঃ অরুন কুমার সিংহ। সূর্যমুখি থেকে যেমন তেল হয় তেমনি গাছটা জালানি হিসাবে ও সূর্যমুখির খৈর গোখাদ্য হিসেবে ব্যাবহার করা যায়, পুরোটাই লাভের অংশ বলে জানান চাষিরা।
ভোলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ হাসান ওয়ারেসুল কবির জানান, ভোলা জেলায় চলতি বছর সূর্যমুখি আবাদের লক্ষমাত্র ধরা হয়েছিলে ৫শ’ হেক্টর জমি লক্ষ মাত্র ছাড়িয়ে চাষ হয়েছে ১ হাজার হেক্টর জমিতে। প্রতি হেক্টরে ফলন ২টন করে পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে তিনি। এ ছাড়াও সূর্যমুখি তেল পুস্টিগুনে ভরপুর ও চাহিদা ও ভালো দাম থাকায় দিন দিন সূর্যমুখির আবাদ বেড়ে চলছে বলে তিনি জানান।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।