সর্বশেষঃ

ভোলায় রমজান উপলক্ষে ক্রয়ে মূল্যে পণ্য বিক্রি করছেন যুবশক্তি সাশ্রয়ী বাজার

ইয়ামিন হোসেন : পবিত্র মাহে রমজান আসলেই যেন প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ে পাল্লা দিয়ে। এতে অসহায় হয়ে পড়ে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারগুলো। সারাদিন রোজা রাখার পর ভালো ইফতার ও সেহেরি জোটে না অনেক পরিবারে।
এ বিষয়টি মাথায় রেখে ভোলা সদর উপজেলা পশ্চিম ইলিশা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাঘারহাট বাজারে “যুব শক্তি ছাত্র কল্যাণ সংঘ” নামের একটি সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুর থেকে ক্রয়ে মূল্যে পণ্য বিক্রি করা কার্যক্রাম শুরু করেন। এর নাম রাখা হয়েছে “জনস্বার্থে যুবশক্তি সাশ্রয়ী বাজার।”
পূর রমজান মাসে এ জনস্বার্থে যুবশক্তি সাশ্রয়ী বাজারে যেসব পণ্য বিক্রি করবেন তার মধ্যে ছোলা, মুড়ি, চিনি, হলুদ, মরিচ, লবন, আলু, পিয়াজ, রসুন, আদা, জিড়া-মসল্লা, সয়াবিন তেল, ডিম ও কাঁচা মালামাল -ইত্যাদি। এসব পণ্য ক্রয়ে মূল্যে বিক্রি করছেন এ সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি।
ক্রেতা মো. শহিদ(৫০) বলেন, বাজার থেকে ১ হালি লেবু কিনতে লাগে ৫০ টাকা। ১ কেজি আলু কিনতে লাগে ১৮ টাকা। রসুন কিনতে লাতে ১৪০ টাকা। আর তা এদের থেকে কম দামে কিনা যায়। এদের থেকে ১ হালি লেবু কিনছি ২৫ টাকায়। আলু ১ কেজি কিনেছি ১৪ টাকায় আর রসুনের কেজি রাখছে ১৩০ টাকা। এ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠকরা কিনা দাবে পণ্য বিক্রির এ দোকান দেওয়াতে আমরা কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেয়েছি। রমজানের বাকি দিনেও এদের থেকে মালামাল কিনতে পারমু কম টাকায়।
ক্রেতা মো. শহিদ সদর উপজেলা পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সির চর গ্রামের চৌকিদার বাড়ির মৃত আব্দুল মুনাফা এর ছেলে। তিনি গাছের কাজ করেন( দিনমজুর)।  তার দুই মেয়ে ও তিন ছেলে রয়েছে।
“জনস্বার্থে যুবশক্তি সাশ্রয়ী বাজার” থেকে খেজুর কিনতে আসা ক্রেতা মো. সাহাজান খলিফা (৪৫) বলেন, বাজারে অন্য দোকান থেকে ৫০০ গ্রামের একটি খেজুরের পেকেট কিনলে লাগে ৭০ টাকা। আর এ সাশ্রয়ী বাজার থেকে তা কিনলাম ৬০ টাকায়। বাজার করলা বিক্রি করে ৭০ টাকায়।আর সেই করলা এখান থেকে কেজি কিনলাম ৫০ টাকায়। ক্রয়ে মূল্যে পণ্য বিক্রি করার যারা এ ভালো উদ্যোগটি নিয়েছে আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। এ বাজার রমজান মাসে আমাদের কে কমদামে পণ্য কিনতে সহায়তা করবে।
“যুব শক্তি ছাত্র কল্যাণ সংঘ” এর সভাপতি মো. আক্তার হোসেন জানান, প্রতিবছর রমজান আসলেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি দামে পণ্য বিক্রি করে থাকে তাতে গরিব ও সমাজের নিম্ন শ্রেনীর মানুষরা বাজার করতে হিমশিম খেতে হয়। এ বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে ক্রয়ে মূল্যে পণ্য বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এবং শেষ রমজান পর্যন্ত আমাদের এ ক্রয়ে মূল্য পণ্য বিক্রি কার্যক্রাম চলমান থাকবে।
তিনি আরও জানান, করনার সময় আমরা নিজ অর্থয়ানে এ গ্রামের গরীব মানুষদের কে সহায়তা করেছি। এবং আগামী দিনেও তাদের এ কর্যক্রাম চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

You cannot copy content of this page