চরফ্যাশনে খালে জাল পাতা নিয়ে মারপিটে দু’পক্ষের মহিলাসহ আহত ৬

চরফ্যাশন প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় খালে জাল পাতা নিয়ে মারপিটে দুই পক্ষের মহিলাসহ ছয়জন আহত হয়েছে। স্থানীয়দের সহযোগীতায় আহতদের উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ মার্চ) উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চরআইচা গ্রামের আজিজ সরদার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

হাসপাতালে আহত মো. হারুন (২৫) বলেন, আমাদের বাড়ির সামনের খালে আমি মাছ স্বীকারের জন্য জাল পাতি। এরপর আমার ছোট চাচা মৃত ফয়েজউল্লার মেয়ে সাদিয়া সহ কয়েজনে মিলে আমার জাল গুলো উঠিয়ে ফেললে আমি সাদিয়ার মাকে জাল উঠিয়ে ফেলেছে বললে সে আমাকে সাদিয়াকে মারধর করেছি বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তার স্বামী অর্থাৎ আমার চাচা মারা যাওয়ার পর একই ইউনিয়নের স্থানীয় হাসান আলী কাজীর ছেলে কাশেমের কাছে বিবাহ হয়। বর্তমান কাশেম আমার বাড়িতেই থাকে। সেই সুবাদে কাশেম মসজিদ থেকে বাড়িতে এসে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছ থেকে ঝগড়ার বিষয় জানতে পেরে আমার পরিবারের সদস্যদেরকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় আমাকে গালিগালাজ করতে থাকে এসময় আমি প্রতিবাদ করলে কাশেম ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে লাঠি দিয়ে মারধর করে পরে আমার পরিবারের সদস্য
এগিয়ে আসলে কাশেমের আত্মীয় সজনরা দলবদ্ধ এসে আমার বাবা হাফিজউল্লাহ, মা মহিফুল বিবি, ভাই রিপনের উপর হামলা চালায়। পরে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করি। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

অপরদিকে কাশেম অভিযোগে বলেন, একই বাড়ির হারুন খালে জাল পাতলে কে বা কাহারা তার জাল উঠিয়ে ফেলে। কিন্তু সে সন্দেহ করে তার আপন চাচাতো বোন সাদিয়াকে মারধর করে এবং তার আপন ছোট চাচি অর্থাৎ আমার স্ত্রী খায়রুন নেছাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় আমি প্রতিবাদ করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ির সামনে থাকা কালফা গাছের লাঠি দিয়ে আমার মাথায় ও হাতে আঘাত করে এরপর আমি মাটিতে পড়ে যাই। তারপর হারুন ও তার বাবা হাফিজউল্লাহ, তার ভাই রিপন সহ ৪/ ৫ জনে মিলে আমার পিতা হাসান কাজীকেও মারধর করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমার পিতাকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেয়। আর আমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কাশেমের কারনেই শুক্রবার মারপিটের ঘটনা ঘটে। কাশেম দলীয় প্রভাব দেখিয়ে ওই বাড়ির লোকজনকে ভয়ভীতি দেখান। এবং নারীদেরকে বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাবও দেন। কাশেমের পরিবারের বিরুদ্ধেও নানান ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় সূত্রে।

দক্ষিণ আইচা থানার (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন বলেন, দু’পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।