ভোলায় পুলিশ মেয়ের দাপটে বেপরোয়া বাবা কাদের ॥ অতিষ্ঠ স্বজনরা

ইয়ামিন হোসেন ॥ ভোলা সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নে চরকালী ১নং ওয়ার্ডে এক পুলিশ কনস্টেবল এর প্রভাবে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তার বাবা আবদুল কাদের। অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে কাদের এর স্বজনরা। কাদের চরকালী ১নং ওয়ার্ডের মৃত রঞ্জন আলীর ছেলে।
সরজমিন চরকালী হাওলাদার বাড়ীতে গিয়ে জানা যায়, কাদের হাওলাদার ও তার আপন চাচাতো ভাই নুরুল ইসলাম একই বাড়ীতে বসবাস করেন। দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের মধ্যে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। নুরুল ইসলাম জানান, কাদের এর বাবা তাদের সম্পত্তি যা ছিলো তার চেয়ে বেশি বিক্রি করে গেছেন। বর্তমানে তারা মুলত পোনে ৫ শতাংশ জমির মালিক এবং ওই জমিতে কাদের ও তার ভাই বাদশার বসতঘর। নুরুল ইসলাম সহজ সরল, অন্যদিকে চতুর কাদের তার ভাইদের নিয়ে নুরুল ইসলাম এর পরিবারের উপর বিভিন্ন সময় জোর জুলুম করতেন। এলাকায় মাদক সেবীদের সাথে হাত মিলিয়ে কাদের নানা ভাবে নুরুল ইসলাম এর পরিবারের উপর নির্যাতন চালাতেন। কাদের এর মাদক ব্যবসা বন্ধে প্রাক্তন এক মেম্বারের স্বাক্ষরিতসহ এলাকাবাসী গণস্বাক্ষর দিয়ে স্বারকলিপি দিয়েছেন ভোলার সাবেক এক পুলিশ সুপারের কাছে। মাদক মামলায় কারাগারে ও ছিলেন বেপরোয়া কাদের। এলাকায় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা কয়েক দফায় ফয়সালায় বসলেও সমাধান করতে পারেনি কাদের নুরুল ইসলাম গংদের।
নুরুল ইসলাম এর পুত্র রিয়াজ উদ্দিন বলেন, আমি ছোট একজন ব্যবসায়ী, কাদের কাকা থেকে আমরা জমি পাবো, কয়েকবার ফয়সালায় বসলেও কাদের কাকা মানতে নারাজ। রিয়াজ আরো বলেন, গত দু’বছর যাবৎ কাদের কাকার মেয়ে মারজানা পুলিশ কনস্টেবলে চাকুরী করার সুবাদে আমাদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে আবার কিছু হলেই পুলিশ এনে আমাদের হয়রানী করে। আমার দোকানে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ও হুমকি দিয়েছে কাদের কাকা ও তার মেয়ে মারজানা। ফয়জতুন নেসা নামে এক বৃদ্ধা বলেন, মারজান চাকুরীর পর থেকেই আমার ছেলে ও নাতিদের পুলিশ দিয়ে হয়রানী করছে তারা। আমরা এর বিচার চাই।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে পটুয়াখালীতে কর্মরত নারী কনস্টেবল মারজান মোবাইলে বলেন, যা করে আমার বাবা করেন। আমি কিছুই জানিনা, পুলিশ বা অভিযোগ সবই বাবা করে থাকেন। তবে কাদের হাওলাদার বলেন রিয়াজরা আমার পুকুরের মাছ নিয়ে গেছে, তা ছাড়া আমি মেয়ের ক্ষমতা দেখাই না।
আপনার বিরুদ্ধে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগ তার সত্যতা কতটুকু এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, এটা মিথ্যা কথা। আপনি মাদক মামলায় জেল খেটেছেন কতদিন এমন প্রশ্নে কাদের প্রথমে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে প্রতিবেদকের হাতে প্রমাণ আছে বললে কাদের বলেন, জ্বি একবার ১ মাসের মত মাদক মামলায় জেলে ছিলাম। এদিকে ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা জানান, কাদের তার মেয়ের পুলিশে চাকুরীর পর থেকেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তদন্তসাপেক্ষে প্রশাসন কাদের কে আইনের আওতায় আনার অনুরোধ জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।