বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরেছে ফসলের, বোরহানউদ্দিনে কৃষকের স্বস্তির হাঁসি
বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি ॥ ভোলার বোরহানউদ্দিনে রোববার (১৯ মার্চ) বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরে পেয়েছে ফসলের ক্ষেত। বৃষ্টির কারণে ডাল, তেল ও বোরো ফসলের সজীবতা ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। এতে স্বস্তি দেখা গেছে স্থানীয় কৃষকের মুখে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, উপজেলার বেশিভাগ মানুষের আয়ের উৎস কৃষি। চলছে ডাল, তেল ও বোরো মৌসুম। উৎপাদনের দিক থেকে এখানকার কৃষক আউশের চেয়ে বোরো ফসলের ওপর বেশি নির্ভরশীল। বোরোর অন্যতম উপকরণ সেচ। যা বৃষ্টির ফলে পাওয়া গেছে। এতে কৃষক অনেক উচ্ছ্বসিত।
চলতি মৌসুমে বোরোর আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ৯০০ হেক্টর, ডাল ১৭৯২ হেক্টর, তৈল জাতীয় ফসল ১৯৭৩ হেক্টর ও তরমুজ ৭শ হেক্টর। বোরো ধান তথা মাঠের ফসলের জন্য এ মুহূর্তে বৃষ্টি খুবই প্রয়োজন ছিলো। রোববারের বৃষ্টির ফলে ফসলের ভালো উৎপাদন আশা করা যাচ্ছে। তরমুজ চাষীরা এর ফলে সুবিধা পাবে। এছাড়াও আমে বৃষ্টি কারণে গুটিঝড়া হ্রাসসহ ফলন বৃদ্ধি পাবে।
লক্ষ্মীপুর এলাকার বোরো চাষি অহিদ সর্দার বলেন, এ বৃষ্টি আমাদের কাছে ইদের খুশির মতো। এতে ধানের চারা তাড়াতাড়ি বড় হবে। টাকা খরচ করে ১০-১২ দিন পানি দিতে হবে না। বাড়ী এলাকার মুগ ও মরিচ চাষি খলিল মীর বলেন, এ বছর শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ফসলি জমি শুকিয়ে আছে। গাছ বৃদ্ধি কম হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ায় গাছ ও ফসলের জন্য ভালো হয়েছে।
দেউলা এলাকার মুগ চাষি মফিজল হক ঢালী বলেন, ইতিমধ্যে মুগের ফুল আসতে শুরু করেছে। বৃষ্টি না হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের পোকা মাকড়ের আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছিল। বৃষ্টি হওয়ায় ফসলের বিভিন্ন রকম ক্ষতিকর পোকা মারা যাবে।
এছাড়া বিভিন্ন এলাকার তরমুজ চাষিরা জানান, জমি শুকনো থাকায় প্রতিদিন তরমুজ গাছে পানি দেওয়া লাগে। বৃষ্টি হওয়াতে একটু স্বস্তি পেলাম। গাছ ও তরমুজের জন্য অনেক ভালো হয়েছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান রনি বলেন, এই বৃষ্টি ফসলের জন্য কল্যাণকর। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এইচএম শামীম বলেন, হঠাৎ এ বৃষ্টি ফসলের জন্য আশীর্বাদ। এতে উৎপাদন খরচ কমবে। ডাল, তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। এতে আম দ্রুত বাড়বে এবং ঝরে পড়া বন্ধ হবে।