বিএনপির ভাইস - চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী, লালমোহন - তজুমদ্দিন উপজেলার সাবেক এমপি মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (অবঃ) বীর বিক্রম বলেছেন,শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছি। স্বপ্ন ছিল একটি সুন্দর দেশ গড়ার কিন্ত এ দেশ এমন হবে আমরা ভাবিনি। আওয়ামীলীগের দুঃশাসনের কারনে মানুষের অধিকার বাস্তবায়ন হয়নি।

দেশব্যাপী বিএনপির মাববন্ধনের অংশ হিসাবে ১১ মার্চ শনিবার সকাল ১১ টায় অনুষ্টিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরে আওয়ামীলীগ নির্বাচনে হাইজ্যাক ও ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে ক্ষমতায় এসে দুর্ভিক্ষ উপহার দিয়েছে। বাকশাল গঠন করে মানুষের সকল অধিকার হরন করা হয়েছে। তিনি ২০১৪ সালে বিনা ভোটে ক্ষমতা দখল করেছে, ২০১৮ সালে নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে হয়েছে। আমরা নির্বাচনে গেলাম, ভোলায় আমরা ঘর থেকে বের হতে পারিনি, আমাদেরকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষের অধিকার নেই, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, অর্থ পাচার, গুম, খুন অত্যাচারে মানুষ এখন দিশেহারা। আওয়ামীলীগের দুর্বৃত্তরা দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। এখন আমদানি করার মত টাকাও সরকারের কাছে নেই। শেখ পরিবারের সদস্যরা দেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছে। লুন্ঠন আর মানবতা হরনকারী হিসাবে ২ শ' রাষ্ট্রের তালিকায় বাংলাদেশ ৩য়।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে একটি মিথ্যা মামলায় গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এদেশের জনগনের ভোট ও দ্রব্যমূল্যের ন্যায্য অধিকার সহ ১০ দফা দাবী আদায়ের জন্য এ আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছি। জিয়ার সৈনিকেরা ঢাকার রাজপথ দখল করে এই শৈরাচার ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারকে উৎখাত করে গনতন্ত্র ও মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনবো।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে, ভোলা-৪ আসনের বারবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য, ডাকসুর সাবেক এজিএস নাজিমউদ্দীন আলম বলেন, আন্দোলন চলছে, আন্দোলন চলবে ভোট চোর ও মাফিয়া সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত। তিনি হুশিয়ার করে বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে বিদেশে পাঠিয়ে বিএনপিকে নিশ্চহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্ত আমরা বিএনপির লড়াকু সৈনিকেরা শেখ হাসিনার সৈরাচারী রক্তচক্ষু কে ভয় পাই না। আমরা খালেদা জিয়ার সৈনিকেরা আজ ঐক্যবদ্ধ।
তিনি বলেন৷ বিএনপি এদেশের মাটি ও মানুষের দল। আমরা এই অবৈধ সরকারকে হটিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবো।
ভোলা জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর এর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম- আহবায়ক আলহাজ্ব শফিউর রহমান কিরন, সদস্য সচিব রাইসুল আলম, সাবেক সাধারন সম্পাদক হারুনুর রশিদ ট্রুম্যান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইনামুল হক, ভোলা সদর থানা বিএনপির সভাপতি আশিফ আলতাফ, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নাছির, চরফ্যাশন পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক খায়রুল ইসলাম, বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মিলন মাতাব্বর, তজুমদ্দিন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন হাওলাদার, লালমোহন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সফিকুল ইসলাম, ভোলা জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক তরিকুল ইসলাম কায়েদ, কৃষক দলের সভাপতি সেন্টু, ভোলা সদর উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক লিয়াকত হোসেন, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সহিদুল হক মানিক, ভোলা আইনজীবী ফোরামের সাধারন সম্পাদক আমিরুল ইসলাম বাছেত ও জেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক তানভীর আহমেদ প্রমূখ।

সকাল থেকে ভোলা জেলার বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায় থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মীরা ব্যানারসহ মানববন্ধনে অংশ নেয়।
প্রায় ১ কিঃমিঃ দির্ঘ মানববন্ধনটি ভোলা জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে বেলা ১১টায় শুরু হয়ে বেলা সাড়ে ১২টায় শেষ হয়।