লালমোহনে অগ্নিকান্ডে বসতঘর পুড়ে ছাই
লালমোহন প্রতিনিধি ॥ ভোলার লালমোহনে অগ্নিকান্ডে পুড়ে ছাই হয়েছে বসতঘর। বুধবার রাতে উপজেলার লালমোহনের ইউনিয়নের উত্তর ফুলবাগিচা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৩ জনকে অভিযুক্ত করে লালমোহন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রূপজান বেগম নামের এক নারী।
থানায় দায়ের করা অভিযোগে রূপজান বেগম বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে চরভূতা ইউনিয়নের তারাগঞ্জ এলাকার নূরুল ইসলামের ছেলে মো. মনির হোসেনের সঙ্গে প্রায় দুই বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তবে বিয়ের পর থেকে আমার মেয়ে সেতু বেগমকে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানষিকভাবে নির্যাতন শুরু করে মনির। যার জন্য অনেকদিন ধরে আমার মেয়ে তার সন্তান নিয়ে আমাদের বাড়িতে থাকতে শুরু করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে মনির।
অভিযোগে রূপজান আরো উল্লেখ করেন, গত বুধবার (৮ই মার্চ) বিকালে মনিরসহ কয়েকজন আমাদের বাড়িতে এসে সেতু ও তার সন্তানকে নিয়ে টানাহেঁচড়া করে। তখন স্থানীয়রা এসে মনিরসহ তার সাথের লোকজনকে পাঠিয়ে দেয়। তবে যাওয়ার সময় আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা। পরে আমরা রাতের খাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে যাই। এরকিছুক্ষণ পরে ঘরে আগুন জ্বলতে দেখে আমরা চিৎকার করলে এলাকাবাসী এসে আগুন নিভাতে শুরু করে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসও আসে। স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের চেষ্টায় আগুন নিভলেও ছাই হয়ে যায় পুরো বসতঘর। এতে ঘরে থাকা আসবাবপত্র, গুরুত্বপূর্ণ মালামাল ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়।
রূপজানের মেয়ে সেতু বেগম জানান, আমার স্বামী মনির আমাকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করতো। যার জন্য আমি বাবার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেই। এখানেও এসে মনির আমাকেসহ পুরো পরিবারকে হত্যা করার হুমকি দেয়। গত বুধবার বিকালেও এসে হুমকি দিয়ে যায় মনির। রাতেই আমাদের বসত ঘরে আগুন লাগে। এসময় স্থানীয়রা মনিরসহ কয়েকজনকে অগ্নিকান্ডের পরপর বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে দেখে।
এ ব্যাপারে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, বসতঘরে অগ্নিকা-ের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের মাধ্যমে মূল ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা করবো।