সর্বশেষঃ

ভোলার লালমোহনে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার রেজাল্ট নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ

লালমোহন প্রতিনিধি ॥ লালমোহনে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার রেজাল্ট নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন পৌর শহরের দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। লালমোহন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লালমোহন হা-মীম রেসি: একাডেমিতে মেধাবী শিক্ষার্থী থাকলেও তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এনিয়ে অভিভাবকমহলে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। মঙ্গলবার বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর তা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ করে অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিকেলে অভিভাবকরা একত্র হয়ে এ ঘটনার নিন্দা জানান এবং এই ফলাফল প্রত্যাখান করেন।
জানা গেছে, লালমোহন পৌর শহরের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৮ জন বৃত্তি পরীক্ষা দিয়ে ২৬ জন বৃত্তি পায়। অথচ পৌরসভার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লালমোহন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৫ জন পরীক্ষা দিলেও তাদের মাত্র ২জনকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে প্রতিটি পরীক্ষা রেকর্ড ফলাফল করা লালমোহন হা-মীম রেসি: একাডেমিতে ১৫ জন পরীক্ষা দিলেও তাদের কোন বৃত্তিই দেওয়া হয়নি।
মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন জানান, তার প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা ভালো পরীক্ষা দিয়েছে। সবাই বৃত্তি পাওয়ার উপযোগি। তারা কেন বৃত্তি পায়নি তা বুঝতে পারছেননা। দুই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক নিজাম উদ্দিন, প্রভাষক কামরুল ইসলাম, প্রভাষক সাইফুল ইসলাম, সোহেল, জসিম জনি, মিলন, ইসমাইল সহ প্রায় ২৫ জন অভিভাবক জানান, ফলাফল নিয়ে স্পষ্ট অনিয়ম হয়েছে। তা না হলে তাদের সন্তানরা বৃত্তি পেত। এসব অভিভাবকদের সন্তানরা বৃত্তি পাবেন এমন আত্মবিশ^াস তাদের রয়েছে। কারণ এরা স্কুলের মেধাবী শিক্ষার্থী। তারা আরো অভিযোগ করেন, পৌর শহরের অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে ২৮ জন পরীক্ষা দিয়ে কি করে ২৬ জন বৃত্তি পায়। বৃত্তি প্রাপ্তদের কেউ কেউ বৃত্তি পাওয়ার মতোও ছিল না বলে তারা জানান।
এ বিষেয় উপজেলা শিক্ষা অফিসার আক্তারুজ্জামান মিলন জানান, বৃত্তি পরীক্ষার পর খাতা জেলায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। জেলা থেকে খাতা দেখা হয়েছে। ফলাফলে কোন আপত্তি থাকলে পূণনিরীক্ষার ব্যবস্থা আছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।