মাছ ব্যবসার আড়ালে দিতেন গরু চুরির নেতৃত্ব।। নির্মাণ করেছেন আলিশান মান্নান মার্কেট

ইয়ামিন হোসেন : চরাঞ্চল ও বিভিন্ন গ্রাম থেকে কৃষকের গরু, ছাগল চুরি হয়ে যায়। কৃষকরা কান্নাকাটি করে কয়েকদিন খুঁজাখুঁজি করে আল্লাহ্ কাছে বিচার দিয়ে রাখা ছাড়া কোন উপায় থাকে না। গত কয়েকমাস ধরে রাজাপুর, পশ্চিম ইলিশা ও পূর্ব ইলিশার শতাধিক গরু ও ছাগল চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরি হয় কিন্তু চোর শনাক্ত না হওয়ায় গোপন ভাবে চারদিকে সোর্স লাগিয়েছে গরুর মালিকরা। ইতিমধ্যে পূর্ব ইলিশার কসাইদের পরিষদে ডেকে সর্তক করেছে চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ছোটন।


সর্তকতা করলেও চুরি কমছে না অবশেষে ১৯শে ফেব্রুয়ারী ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইলিশা পরিষদের কয়েকজন ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশরা গুপ্তমুন্সী ৮নং ওয়ার্ডের আবদুল মান্নানের বাসায় গিয়ে প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন।
সত্যতা পেলে ইউপি সদস্য লিটন সিকদার চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ছোটন কে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫টি গরু, এবং অর্ধশতাধিক গরু বাধার রশ্মি ও ফ্রিজে মাংস, ১০টির মত পা উদ্ধার করেন।
এ ছাড়া আবদুল মান্নানের বাড়ীর চারপাশে জবাই করে ভুঁড়ি চামড়াসহ গরু ছাগলের বিভিন্ন অংশ মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
মেম্বার চেয়ারম্যান বাড়ীতে যাওয়ার আগেই পালিয়ে যান মান্নানসহ তার পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, আবদুল মান্নান ও তার তিন ছেলে এবং মেয়ের জামাই মাইনউদ্দিনের কাছে চোরেরা বিভিন্ন গরু, ছাগল চুরি করে এনে জমা রাখলে মান্নান ও তার জামাই ছেলেরা চুক্তিভিত্তিক কসাইদের কাছে বিক্রি করেন।
গরীব কৃষকদের পেটে লাথি দিয়ে চোরদের গডফাদার মান্নান ও তার ছেলেরা ক্ষুদ্র মাছ ব্যবসা কে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে ভোলা লক্ষ্মীপুর সড়কের পাশে তিনতলা আলিশান মান্নান মার্কেট গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
হঠাৎ আলাদীনের চেরাগের মত বনে যান মান্নান। আবদুল মান্নানের এক প্রতিবেশী বলেন, ভোলা শহরের কিচেন মার্কেটে মাছ কিনে বিক্রি করেন মান্নান, তার ছেলেদের ও একই পেশা তাহলে নুন আনতে পান্তা পুড়ানো মান্নান আজ আলিশান মার্কেট ও বাড়ী মালিক। কোথায় পেলো এত টাকা? আমরা প্রতিবেশীরা এতদিন যে সন্দেহ্ করেছি আজ সেটাই সত্য হলো তবে শুধু মান্নান নয় এই ঘটনার সাথে অনেকেই জড়িত বলে জানান মান্নানের ওই প্রতিবেশী।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত আবদুল মান্নানের ছেলে বিল্লাল হোসেন বলেন, এই ঘটনায় আমরা জড়িত না তবে মাইনউদ্দিন নামের একজনে মাঝেমধ্যে গরু এনে রাখতো এবং জবাই করে নিয়ে যেতো।
ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ছোটন বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়েছি, গরুসহ গরুর পা, গোশত ও গরু জবাইয়ের বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করেছি। যাদের গরু চুরি হয়েছে তারাও অনেকে এসেছে। প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হয়েছি আবদুল মান্নানই গডফাদার তবে আরো তদন্ত চলছে, পুলিশ কে জানিয়েছি আইনি ভাবে বিষয়টি দেখা হবে বলে জানান তিনি।
ইলিশা ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম মোস্তফার নাম্বারে কল দিলে অপর এক পুলিশ কর্মকর্তা রিছিভ করে বলেন আমরা ঘটনাস্থলে আছি, আপনাদের জানাবো।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।