ডেস্ক রিপোর্ট ॥ ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান না হলে আমি তোফায়েল আহমেদ হতে পারতাম না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ’৬৯ এসেছিল বলেই আমি বাংলাদেশের মন্ত্রী হতে পারেছি। রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরে ২০১৭ সালের শহীদ মতিউর রহমানের বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকরা এসব কথা বলেন।
১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হন শহীদ মতিউর রহমান। ওইদিন আমরা স্লোগান দিয়েছিলাম শেখ মুজিবের মুক্তি চাই, আয়ুব খানের পদত্যাগ চাই। মতিউর রহমান তখন দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। মতিউর হরমানের বাসার সাথে সাক্ষাৎ শেষে তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান না হলে ফাঁসির দড়ি থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে আমরা বাঁচাতে পারতাম না। গণঅভ্যুত্থানের ঐক্য দেখে পাকিস্তানের সামরিক শাসকরা বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসিতে ঝুলানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। একই সঙ্গে আইয়ুব খান নির্বাচন না করার ঘোষণা করেন। ওই গণঅভ্যুত্থান বাঙালি জাতিকে মহান মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘৬৯ না এলে আমি তোফায়েল আহমেদ ও বাংলাদেশের মন্ত্রী হতে পারতাম না। তৎকালীন ডাকসুর ভিপি হিসেবে আমার যে নাম যশ, খ্যাতি তা ৬৯ কে ঘিরেই হয়েছে। ৬৯ এর কাছে আমি ঋণী। এই প্রেক্ষাপট তৈরি করে দিয়েছিল শহীদ মতিউর। ৬৯ এর ফসল তোফায়েল আহমেদরা মন্ত্রী হবে, আর মতিউররা ঠাঁই পাবে না এটা বাংলাদেশে হতে পারে না। এই অনুভব থেকেই শহীদ মতিউরের পরিবারকে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেওয়ার চেষ্টা করি এবং প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় এই প্লট আমরা তার পরিবারকে দিতে সক্ষম হই। আজ আমার দেখতে খুব ভালো লাগছে শহীদ মতিউরের পিতা জীবদ্দশায় দেখে যেতে পারলেন। তার অন্য সন্তানরা কেউ আর অভাব অনাটনে নেই, সবারই মাথা গোজার ঠাঁই হয়েছে।
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি এ ধরনের অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারকে যেন এভাবে আবাসনের আওতায় আনা যায় আমরা সে চেষ্টা করবো।
ওই সময় শহীদ মতিউর রহমানের পিতা আজহার উদ্দিন মল্লিক বলেন, ‘আমার ছেলে শহীদ হওয়ার পর আমি বলেছিলাম ছেলে মারা গেছে তাতে কোনও আফসোস নেই। কিন্তু তাদের ত্যাগ যেন বৃথা না যায়। আজ মনে হচ্ছে আমার ছেলের ত্যাগ বৃথা যায়নি। তোফায়েল আহমেদের প্রচেষ্টায় ও প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় শুধু আমি না, অন্য সন্তানরাও আজ মাথা গোজার ঠাঁই পেয়েছে।
সুত্র : বাংলা ট্রিবিউন।
সম্পাদকঃ মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান