মনপুরায় স্ত্রীকে রাতভর নির্যাতন ॥ অভিযুক্ত স্বামী আটক

নজরুল ইসলাম মামুন, মনপুরা ॥ ভোলার মনপুরায় এক মাদ্রাসার শিক্ষক স্ত্রীকে হাত-পা বেঁধে রাতভর শাররীক নির্যাতন চালায়। খবর পেয়ে ওই শিক্ষকের স্ত্রীর মা ৯৯৯ ফোন করে মেয়েকে উদ্ধারে পুলিশের সহযোগিতা চায়। পরে মনপুরা পুলিশের একটি টিম ওই শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে ঘন্টাব্যাপি চেষ্টার পর নির্যাতিত গৃহবধুকে উদ্ধার করে মনপুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তখন ওই শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনাটি ঘটে সোমবার রাত ১ টায় উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরফৈজুদ্দিন ৮ নং ওয়ার্ডে শামীম মাষ্টারের বাড়িতে। অভিযুক্ত শামীম মাষ্টার উপজেলার হাজিরহাট ফকিরহাট দাখিল মাদ্রাসার শরীর চর্চার শিক্ষক।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদ জানান, ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে পুলিশের একটি টিম শামীম মাষ্টারের বাড়িতে গিয়ে ঘন্টাব্যাপি চেষ্টার পর নির্যাতিত গৃহবধুকে রক্তাত্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মনপুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। একই সাথে অভিযুক্ত শামীম মাষ্টারকে আটক করে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
এলাকাবাসী সাথে আলাপ করে জানা যায়, মাদ্রাসার শিক্ষক শামীম মাষ্টার ভালোবেসে ১৬ বছর আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর বিভিন্ন কারণে স্ত্রীকে নির্যাতন করেন। এনিয়ে পারিবারিকভাবে অনেকবার শালিশী বৈঠক হয়। তাছাড়াও ওই শিক্ষক এলাকায় বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত রয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। এছাড়াও মনপুরার আলোচিত ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন হত্যা মামলায় জড়িত আছে বলে অনেকে অভিযোগ করেন।
নির্যাতিত গৃহবধুর মা জানান, সোমবার রাত ১ টায় মেয়েকে হাত-পা বেঁধে শাররীকভাবে নির্যাতন করে জামাই শামীম। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে চিৎকার করে মেয়ে। এমনকি সে বেহুশ হয়ে পড়ে থাকে। পরে ৯৯৯ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়। পরে রাত ২ টায় মনপুরা পুলিশের একটি টিম ঘন্টাব্যাপি চেষ্টার পর মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে ও শামীম মাষ্টারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদ জানান, ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে পুলিশের একটি টিম শামীম মাষ্টারের বাড়িতে গিয়ে ঘন্টাব্যাপি চেষ্টার পর নির্যাতিত গৃহবধুকে উদ্ধার করে ও শামীম নামে শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।