সর্বশেষঃ

জামিনে মুক্ত হলেন ‘ফখরুল-আব্বাস’

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস জামিনে মুক্ত হয়েছেন। তাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তাঁরা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন। এ সময় জেলগেটে অপেক্ষায় থাকা শত শত নেতাকর্মী মিছিল করেন। তাদের উদ্দেশে দুটি ছাদখোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে হাত নাড়েন ফখরুল-আব্বাস। এর আগে সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাদের জামিননামা আদালতে দাখিল করা হয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জামিন আদেশের নথিপত্র কারাগারে পৌঁছায়। তাঁদের জামিননামার কাগজপত্র যাচাইবাছাই করে দেখার পর মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন গত রোববার বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। জামিন বাতিল চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন। তাঁদের স্থায়ী জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ৩ জানুয়ারি মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ৬ মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি তাঁদের কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে সংশ্নিষ্টদের প্রতি রুল জারি করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ সেই জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করলে ৪ জানুয়ারি চেম্বার আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। আর আপিল বিভাগে শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিপক্ষকে নিম্ন আদালতে জামিননামা দাখিল করতে নিষেধ করা হয়।
ঢাকায় গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে গত ৭ ডিসেম্বর রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ‘পুলিশের ওপর হামলায়’ দলীয় নেতাকর্মীকে ‘উস্কানি’ দেওয়ার মামলায় এই দুই বিএনপি নেতাসহ ৪৫০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন, মতিঝিল, শাহজাহানপুর ও রমনা থানায় চারটি মামলা করে পুলিশ। এতে প্রায় ৩ হাজার নেতকর্মীকে আসামি করা হয়। তাঁদের মধ্যে ৭২৫ জনের নাম এজাহারে উল্লেখ করা হলেও তাতে মির্জা ফখরুল বা মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।