সর্বশেষঃ

লালমোহনে মধ্যবিত্ত ও নিন্মবিত্তের ভাষ্য

দামে কম-মানে ভালো, পুরাতন শীত বস্ত্রই ভরসা

জাহিদ দুলাল, লালমোহন ॥ সারা দেশে জেঁকে বসেছে শীত। পৌষের শীত গ্রামাঞ্চলের মানুষদের প্রায় কাবু করে চলছে। এই শীত থেকে কিছুটা হলেও পরিত্রাণ পেতে প্রয়োজন শীত বস্ত্রের। প্রতি বছর শীতের এ মৌসুমে পুরাতন শীতবস্ত্রের দোকান বসান বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
সে রকমই ভোলার লালমোহনেও বসেছে পুরাতন শীত বস্ত্রের দোকান। পৌর শহর আর গ্রাম-গঞ্জের বিভিন্ন হাঁট-বাজারে এখন এই পুরাতন শীতবস্ত্রের দোকানের দেখা মিলছে অহরহ। যেখানে ভীড় করছেন অধিকাংশ মধ্যবিত্ত ও নিম্মবিত্ত পরিবারের মানুষজন।
লালমোহন পৌর শহরের সদর রোডে পুরাতন শীতবস্ত্রের এক দোকানদার মো. শাওন। সে লালমোহন পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মফিজ বকশির ছেলে। শাওন জানান, বিগত ৪ বছর ধরে শীতের মৌসুমে এই পুরাতন শীতবস্ত্রের দোকান করছেন তিনি। তাই এবছরও দোকান বসিয়েছেন।


যেখানে শাওন বিক্রি করছেন শিশু, পুরুষ ও মহিলাদের বিভিন্ন ধরনের শীতবস্ত্র। এখানে রয়েছে জ্যাকেট, টাউজার, গেঞ্জি ও সুয়েটারসহ নানান ধরনের শীতবস্ত্র। শাওন প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ হাজার টাকার মত এই পুরাতন শীতবস্ত্র বিক্রি করতে পারেন। এতে করে প্রতিদিন তার গড়ে লাভ হয় দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। তার দাবী; পুরাতন এসব শীতবস্ত্র কিনতে আসা অধিকাংশই মধ্যবিত্ত ও নিম্মবিত্ত পরিবারের সদস্য।
পুরাতন শীতবস্ত্র কিনতে আসা মো. আরিফ উল্যাহ বলেন, বাজারের দোকানগুলোতে শীত বস্ত্রের দাম অনেক বেশি। যা আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের জন্য কেনা প্রায় অসম্ভব। তাই এখানে এসেছি ছেলের জন্য একটি জ্যাকেট কিনতে।
পুরাতন এই শীতবস্ত্রের দোকানে আসা তাসনুর নামের এক নারী ক্রেতা জানান, বাজারের দোকানগুলোতে দাম অনেক বেশি হওয়ায় এখানে সুয়েটার কিনতে এসেছি। এই দোকানেও ভালো মানের শীতের পোষাক রয়েছে। যার মূল্য আমাদের মতো অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের সাধ্যের মধ্যে রয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।