চরফ্যাশনে ইউপি নির্বাচন : প্রচারনা নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ ॥ আহত-৩০

মো: আফজাল হোসেন ॥ ভোলার চরফ্যাশনে নির্বাচনী প্রচারনা চালানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। এসময় নির্বাচনী অফিস, মটরসাইকেল ভাংচুরেরর ঘটনা ঘটেছে। গতরাতে চরফ্যাশনের ঘোষের হাটে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, চরফ্যাশন উপজেলার নীল কমল ইউনিয়নের সতন্ত্র প্রার্থী ইকবাল হোসেন লিখন মটরসাইকেল মার্কা এবং নৌকার প্রার্থী মোঃ আলমগীর হাওলাদার এর সমর্থকদেন মধ্যে প্রচারনাকে কেন্দ্র করে ঘোষেরহাট বাজারে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালিন সময় একে অপরের উপর ইটপাটকের নিক্ষেপ করে। প্রায় দেরঘন্টা ব্যাপি চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়। এসময় মটরসাইকেল, প্রচারনার রিকসা, মাইক ও নির্বাচনী অফিসসহ দোকানপাট ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দুলারহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় আহতদের উদ্ধার করে চরফ্যাশন ও ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


স্থানীয়রা বলেন, মটরনাইকেল মার্কার সমর্থকরা তাদের নির্বাচনী অফিসে বসেছিলো এবং রিক্সায় প্রচারনা চালাচ্ছিলো এমন সময় মটরসাইকেল বহর নিয়ে নৌকার প্রার্থীসহ তাদের সমর্থকরা রাস্তা দিয়ে যাবার সময় হঠাৎ করেই প্রচারনা চালানো নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পকর্যায় প্রচারনার রিক্সাসহ মাইক ভাংচুর করে পাশের খালে ফেলে দেয়। এক পর্যায় মটরসাইকেলে নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। এসময় মটরসাইকেল সমর্থকরা সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়লে দফায় দফায় দুই গ্রুপে সংঘর্ষ চলে। খবর পেয়ে দুলারহাট থানার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে অনেকক্ষণ চেস্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় নৌকা মার্কার প্রার্থী মো: আলমগীর হাওয়ালাদার বলেন, আমি নৌকার প্রার্থী। আমার ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঘটনা ঘটেছে। আমি সুষ্ঠ নির্বাচন চাই, ঝামেলা চাইনা। তিনি আরো বলেন, আমরা চাইলে ওরা কি পারে আমাদের সাথে ?
অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্র্থী মো: ইকবাল হোসেন লিখন বলেন, আমার প্রচারনায় নৌকার প্রার্থীসহ বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে হামলা চালায়। তারা আমার নির্বাচনী অফিসে ব্যাপক ভাংচুর করে তছনছ করে দেয়। এছাড়া আমার বাড়িতে হামলার চেস্টাও করে। একই সময ৩টি প্রচারনার মাইকসহ রিক্সা, মটরসাইকেল ভাংচুর করে। নির্বাচনী পরিবেশ নস্ট করার জন্য সব ধরনের চেস্টা করছে নৌকার প্রার্থী। আমি শান্তিপূর্ন পরিবেশ চাই।
এ বিষয় দুলারহাট থানার ওসি মো: আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। রাতেই খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উল্লেখ্য, আগামী ২৯ডিসেম্বর জেলার চরফ্যাশন উপজেলার নীল কমল, আমিনাবাদ ও জিন্নাগর ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। এবছর ইভিএমে ভোট গ্রহন করা হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।