থেমে নেই সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজী
ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট যাত্রীদের জন্য মরন ফাঁদ
মো: আফজাল হোসেন ॥ ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি এখন এই রুট ব্যাবহারকারী হাজারো যাত্রীদের যেন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। সব সময়ই দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যাত্রীরা। আর পুরো বাঁধের উপর বোরাক, রিক্সা, মাইক্রো এবং মাহেন্দ্র রেখে দখলে নেয়ায় লঞ্চের যাত্রীদের চলাচলের জন্য চরম ভোগান্তির কারন হয়ে দাড়িয়েছে। মনে হচ্ছে এটি সাধারণ যাত্রীদের জন্য মরন ফাঁদ।
ভোলার সদর উপজেলার ইলিশা লঞ্চঘাটটি চলাচলের জন্য এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যাত্রীদের কাছে। তবে অসাধু একটু চক্র আর আর বোরাক, রিক্সা, মাইক্রো এবং মাহেন্দ্র চালকদের কারনে এটি এখন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ভোলা-টু-ইলিশার প্রধান রাস্তা ও বাজার থাকার পরেও এসব যানবাহন চালকরা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি দখল করে রাখে। বাঁধ জুড়ে গাড়ী রাখায় সাধারণ যাত্রীদের চলাচল করায় ভোগান্তির যেন শেষ নেই।
১৩ডিসেম্বর সরেজমিন ইলিশা লঞ্চঘাট এলাকায় গেলে নজরে পড়ে এসব দৃশ্য। এক বৃদ্ধা খুবই অসুস্থ্য। তার দুই সন্তান তাকে ধরে এ্যাম্বুলেন্সে তুলবে তার কোন ব্যবস্থা নেই। বাঁধের উপর এমন ভাবে গাড়ী পাকিং করে রেখেছে, তাতে পা ফেলার মত কোন ব্যবস্থা নেই। এটা প্রতি দিনেরই ঘটনা। অথছ সেখানে পুলিশ সদস্যদের দ্বায়িত্ব থাকার কথা এবং এগুলো দেখার কথা। পুলিশ সদস্যরা দ্বায়িত্ব পালন না করলেও সিরিয়ালের নামে চাঁদা নিয়মিত তুলছে মো: মাসুম এবং মনির। গাড়ী প্রতি তারা ২০টাকা করে নিচ্ছে।
বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ জল্লোচ্ছাস থেকে মানুষকে রক্ষার জন্য নির্মাণ করা হলেও সেখানে এখন বিভিন্ন যানবাহনের স্ট্যান্ডে পরিনত হয়েছ্।ে প্রবেশ পথ এবং পুরো বাঁধ অটো, বোরাক, মাহেন্দ্র আর মটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণে। তার উপর চালকদের যাত্রী নেয়ার জন্য ধাক্কা ধাক্কিতে পড়ে গিয়ে অল্পতে রক্ষা এক মায়ের কোলের শিশু মটরসাইকেল যাত্রী তুলে নিয়ে উঠতে গিয়েই পড় সময় রক্ষা অপর যাত্রীদের সহযোগীতায়। এরই একটু আগে একটি বোরাক বাঁধের উপর দিয়ে যাবার সময় উল্টে পড়ে একটু দোকানের উপর। এভাবে প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে এই লঞ্চঘাট এলাকায়।
১২ ডিসেম্বর ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কনেস্টবল মাসুদুর এর সাথে দেখা। ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কিছুই করার নেই। কেউ শোনে না কারোই কথা। লাইনম্যান রয়েছে তারাই সব নিযন্ত্রণ করছে। প্রতিদিন দুর্গটনা, যাত্রী হযরানীর কথা সিকার করে বলেন, এসব ঘটনা আমরা আমাদের স্যারদের জানাই।
লঞ্চঘাটের দ্বায়িত্বে থাকা একজন বলেন, (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) মাসুম আর মনির নামের দুজন আছে তারাই সিরিয়ানের নামে গাড়ী প্রতি ২০টাকা করে নিচ্ছে। যে কারণে কিছু বলা যাচ্ছে না। টাকা তোলার বিষয় অভিযুক্ত মো: মনির বলেন, আমি আর মাসুম ২ জনে টাকা তুলে থাকি। ২০টাকা করে নেই, কেউ দেয় আবার কেউ দেয় না। আমরা সিরিয়ার ম্যান্টেইন করি।
কোন বৈধতা বা ইজারা আছে কিনা জানতে চাইলে বলেন, কোন ইজারা নেই এমনি তুলি। আমরা দুইজনে ভাগ করে নেই। দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, এখন থেকে যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবো এবং মাঝখানে ফাকা রাখবো যাতে মানুষ চলাচল করতে পাড়ে।