ডেস্ক রিপোর্ট ॥ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রতিকূলতা পার করে ভোলার লালমোহনের কৃষকরা আমন ধানের বাম্পার ফলন পেয়েছেন। এতে উপজেলার ৩৫ হাজার কৃষকের মুখে ফিরেছে তৃপ্তির হাসি। বর্তমানে কৃষকরা ধান কাটা, মাড়াই, সিদ্ধ ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ বছর লালমোহনে ধান উৎপাদন হয়েছে ৯৮ হাজার মেট্রিক টন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ধান চাষ হয়েছে উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ, বদরপুর ও রমাগঞ্জ ইউনিয়নে।
ভোলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, লালমোহনে এ বছর আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২২ হাজার ৪২ হেক্টর জমিতে। তবে সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বছর আমন ধান চাষ হয়েছে ২২ হাজার ৫৪২ হেক্টর জমিতে। উপজেলায় এ বছর আধুনিক জাতের ব্রি ধান-৫২, ৭৬, ৮৭, ৯৩, ৯৫ ও ব্রি হাইব্রিড ধান-৪ সহ স্থানীয়নজাতের ধান চাষ করা হয়েছে । ইতোমধ্যে উপজেলার প্রায় ৫৫ ভাগ জমির ধান কাটা হয়ে গেছে।
কৃষকরা জানান, দেশি জাতের সোনালী ও বোজন ধানের চাষ বেশি হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ধানও বেশি হয়েছে। দাম বেশি থাকায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়ন পাঙ্গাশিয়া গ্রামের কৃষক খোরশেদ আলম বলেন, ‘গত বছরে তুলনা এবছর দেশি জাতের আমন ধান পেয়েছি বেশি। দামও ভালো। গত বছর আমন ধান বিক্রি করেছি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা মণ। এই বছর প্রতি মণে দাম পাচ্ছি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা।
দক্ষিণ ফুলবাগিচা গ্রামের কৃষক মো. হাদিস জানান, ১৬০ শতাংশ জমিতে স্থানীয় জাতের আমন ধান চাষ করেছি। ব্যয় হয়েছে ২০ হাজার টাকা। লাভের পরিমাণ দ্বিগুণ। একই গ্রামের কৃষক নাগর মিয়া বলেন, ‘৩২ শতাংশ জমিতে আমন ধান চাষে যা ব্যয় হয়েছে তার প্রায় দ্বিগুন লাভ হয়েছে। আমরা অনেক খুশি।
লালমোহন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএফএম শাহাবুদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সময় ধান নিয়ে কিছুটা শঙ্কায় থাকলেও খুব দ্রুত সময়ে আবহাওয়া ঠিক হয়ে যাওয়ায় এবছর লালমোহনের কৃষকরা আমন ধানের আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন। কৃষকরা বাজারে ধানের দামও বেশি পাচ্ছেন। আগামী বছরও ধান চাষে কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বাড়বে বলে মনে করছি। তিনি আরও বলেন, ‘অধিকাংশ জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা সম্পন্ন হবে।
সম্পাদকঃ মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান