সর্বশেষঃ

আদালতে মামলা, কিছুই জানেন না স্বাক্ষীরা

লালমোহনে মামলা দিয়ে প্রতিবেশিদের হয়রানির অভিযোগ

লালমোহন প্রতিনিধি ॥ ভোলার লালমোহনে জমি জবর দখল, ঘর ও আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগে প্রতিবেশিদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। গত ৫ ডিসেম্বর উপজেলার ধলীগৌর নগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড চরকালাচাঁদ গ্রামের মৃত তাজল ইসলাম হাওলাদারের স্ত্রী শামসুন্নাহার বাদী হয়ে নিজের পুত্র, পুত্রবধূ ও ছেলের জামাতাসহ প্রতিবেশিদের জড়িয়ে লালমোহন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। মামলা নং-৩০৫, তারিখ: ৫ ডিসেম্বর ২০২২।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ নভেম্বর শামসুন্নাহারের জমি জবর দখলের উদ্দেশ্যে মারধর করা হয় এবং ৪ ডিসেম্বর তার ঘর ভাঙচুর ও স্বর্ণালংকার লুট করা হয়। মামলায় মো. মামুন, মো. জহির. মো. বাবুল, তানজির হোসেন অপু, মো. মহিউদ্দিন জুয়েল, মো. ইয়মিন সোহাগ, খালেদা আক্তার ও পিনু বেগমকে আসামী করা হয়।
মামলার প্রথম আসামী মো. মামুন বলেন, আমার শ^শুর ও চাচা শ^শুরের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এনিয়ে আমার শ^শুরের পরিবার তার ভাইদের বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন। ওই মামলার কাউন্টারে আমার দাদি শ^াশুরি বাদি হয়ে মামলা করেছেন। তবে আমি কখনই দাদি শ^াশুরির বাড়ি তথা এ এলাকায় আসিনি। অথচ আমাকেও আসামী করা হয়েছে।
মামলার আসামী মো. মহিউদ্দিন জুয়েল ও মো. ইয়ামিন সোহাগ বলেন, শামসুন্নাহারের ছেলেদের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে শুনেছি। এই বিরোধের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। তবুও আমাদের নামে কেন মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে তা বোধগম্য নয়। এদিকে এই মামলায় যাদেরকে স্বাক্ষী করা হয় তারা কেউই ঘটনা সম্পর্কে জানেন না বলে জানান। এমনকি তাদের কে না জানিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে মামলায় স্বাক্ষী দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
মামলার ১নং স্বাক্ষী প্রতিবেশী মো. মোস্তফা কামাল উদ্দিন বলেন, গত ২৪ নভেম্বর মৃত তাজল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে মো. বাবুল ও নজরুল ইসলাম রিয়াজের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মারধরের ঘটনা ঘটে। সেখানে মো. মহিউদ্দিন জুয়েল ও মো. ইয়ামিন সোহাগ উপস্থিত ছিলেন না। এছাড়াও গত ৪ তারিখ রাত্রে সামসুন্নাহারের পরিবারের সংবাদের ভিত্তিতে তাদের ঘর পরিদর্শন করি। তবে ওই ঘরে কে বা কাহারা ঢুকেছে আমরা দেখিনাই। এ মামলায় আমাকে না জানিয়ে স্বাক্ষী করা হয়েছে।
মামলার ২য় স্বাক্ষী মো. সিদ্দিক ঝান্টু, ৩য় সাক্ষী মো. শাহাজাহান ও ৪র্থ স্বাক্ষী মো. আলামিন জানান, শাসসুন্নাহারের ঘর ভাংচুর লুটপাট ও মারধরের কোন ঘটনাই আমাদের জানা নেই। এমনকি আমাদেরকে অবগত না করেই মামলার স্বাক্ষী করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ৪ ডিসেম্বর শামসুন্নাহার ও তার পরিবার ভোলায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হলে ঘরের চাবি পাশ^বর্তী বাড়ীর মো. বশিরের স্ত্রী লাইজু বেগমের কাছে রেখে যান। সেদিন ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের বিষয়টি লাইজু বেগম স্বচোক্ষে দেখেছেন। এদিকে লাইজু বেগম বলেন, শামসুন্নাহারের ঘরের দরজা খোলা দেখে আমি তাদেরকে সংবাদ দেই। তবে কে বা কারা ঘরে ঢুকেছে আমি দেখিনি। এসময় মামলায় উল্লেখিত আসামীদের কাউকেই তিনি দেখেননি বলেও জানান। একই সাথে। তাকেও না জানিয়ে স্বাক্ষী দেখানো হয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।