শেষ বয়সে একটি ঘর চান বিধবা মমতাজ

ষাটোর্ধ বয়স বিধবা মমতাজের। পরে থাকেন ভাঙা একটি কুঁড়েঘরে। আশপাশের মানুষ যা খেতে দেয় তা দিয়ে দিন পার করেন। মমতাজের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ডের কবিরাজ বাড়ি। দাম্পত্য জীবনে তার বিয়ে হলেও স্বামি বেচে নেই। তার ২ মেয়ের বিয়ে হলেও বড় মেয়ে বিধবা, বর্তমানে তার নিজের কোন সম্পত্তি না থাকায়, তার মায়ের ওয়ারিশ সম্পত্তির ২ শতাংশ জমির ওপর জরাজীর্ণ ঘর করে আছেন তিনি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জরাজীর্ণ একটি টিনের দোচালা ঘরে মমতাজের বসবাস। ঘরের বেড়ায় মাকড়সার জাল পাতা। চালের ছিদ্র দিয়ে বৃষ্টির পানি পরে। ময়লা-আবর্জনা জমে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ওই ঘরের বিছানায় অর্ধ আবরণে পড়ে আছেন বৃদ্ধা মমতাজ। ঘরের বেড়া দিয়েছেন নারিকেল ও সুপারি পাতা দিয়ে।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিয়ার পর স্বামী সন্তান লইয়্যা সুখেই আছিলাম। কিন্তু ২টি মেয়ে রাইখা স্বামী মারা যায়। এরপর মাইনষ্যের বাড়িত কাম কইর‌্যা আমি সন্তান দুইডারে খাওয়াইতাম। বড় মাইয়াডারে বিয়া দিছি জামাই রাইখা চইলা গেছে, ছোট মেয়েডারে বিয়া দিয়া, হেরপর থেইক্যা তো আমি একলাই বাঁইচ্যা আছি।
কথা প্রসঙ্গে জানা গেল, জীবিকার তাগিদে অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করতেন মমতাজ। বার্ধক্য জনিত নানা রোগে ভুগলেও আত্মীয়-স্বজনরা কেউ খোঁজ নেয় না। এই অবস্থায় জীবন চালানোর জন্য বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা কিছুই জোটেনা তার কপালে। তিনি দেশের অর্থ বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা চাচ্ছেন। তার মোবাইলঃ ০১৬১৭৫৭৩২২৩।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।