সর্বশেষঃ

বাংলা রিকশায় খাবার জোটে সালাউদ্দিনের

নাম সালাউদ্দিন। বয়স ৩৫। এক মেয়ে নিয়ে তার সংসার। জীবিকার তাগিদে বেছে নিয়েছেন রিকশা চালানোর পেশা। বাংলা রিকশা না চালালে তার এবং তার পরিবারের খাবার জোটে না।
জানা যায়, ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা বড় মানিকা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মৃর্দা বাড়ির আজিজুল ইসলামের ছেলে মোঃ সালাউদ্দিন। কিশোর বয়সেই দরিদ্রতা সহিত চলাফেরা করেন সালাউদ্দিন। জীবিকার তাগিদে ছুটে যান ঢাকায়। দিনমজুরের কাজ করেন, নাজমা নামে একটি মেয়েকে করে ফেলেন বিয়ে। তার ঘরে জন্ম নেয় একটি মেয়ে, যার নাম রাখা হয় করুনা। ক্রমে ক্রমে মেয়েটির বয়স ১৫ হয়ে ওঠে, এর মধ্যে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ওঠে। ভারি কোন কাজ কর্ম করতে পারে না। কিভাবে চলবে জীবন ? কী করে সংসার চালাবেন ? এমন শত প্রশ্ন দাঁড়ায় সামনে। কিন্তু জীবন চলে তার আপন গতিতে। আর তাই তিনি আজ বাংলা রিকশাচালক। এর মধ্যে তার স্ত্রী সন্তান তাকে ছেরে চলে যায়। এক পর্যায়ে তার বাবার পুরোনো ভাঙা রিকশাটি স্থানীয় কাজল নামে এক ভদ্র লোক ৩ হাজার টাকা খরচ করে ঠিক করে দেন। সারাদিন উপজেলার বিভিন্ন সড়কে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রিকশা চালিয়ে যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন না।
সালাউদ্দিন বলেন, সারাদিন রিকশা চালিয়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকা আয় হয়। যা দিয়ে আমি নিজেই চলতে পারিনা, টাকার অভাবে স্ত্রী-সন্তান আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। বর্তমানে আমি আমার বোনের বাড়িতে থাকি আমার বোন জামাই নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। আমি দেশের ধনমান ব্যক্তিদের কাছে সহযোগিতা চাই। সালাউদ্দিনকে যদি কোন স্ব-হৃদয়বান ব্যক্তি সাহায্য করতে চান তাহলে (বিকাশ, ০১৮৩৪৮২৩২৬২) যোগাযোগ করে তাকে সহযোগিতা করুন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।