ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং এ তান্ডবে ঘর হারিয়ে দিশেহারা বোরহানউদ্দিনের দিনমজুর পরিবার

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং তান্ডবে ব্যাপক ঘর ভাঙচুর ওনগাছ, পুকুরের মাছ, জমির ধান, পানের বর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বড়মানিকা ও টবগী ইউনিয়নের মেঘনা নদীর বেড়ীবাঁধ এলাকায় ও বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রায় ৬ শত ঘর ভাংচুর হয়েছে। ভেসে গেছে মৎস্য খামারিদের পুকুরের মাছ। নিস্ব পোল্ট্রি খামারিরা। মেঘনা নদীর বেড়ীবাঁধ বাহির এলাকায় হাস-মুরগি, গরু- ছাগল, পুকুরের মাছ, পানের বর জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। এতে অসহায় হয়ে পরেছে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় পরিবারগুলো। অন্যদিকে পক্ষিয়া, বড়মানিকা, টবগী ও হাসাননগর কাচিয়া ইউনিয়নে একই চিত্র দেখা গেছে। প্রায় ৬ শত ঘর ভাঙচুরসহ জমির ধান ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে নিস্ব বসত ঘর হারিয়ে অসহায় পরিবারগুলো।
বোরহানউদ্দিন পৌর ৭ নং ওয়ার্ডের আলাউদ্দিনের ছেলে রিপন বলেন, আমার বাড়ি পৌর ৭ নং ওয়ার্ডের আওন বাড়ি, ঘুর্ণিঝড় ডিত্রাংয়ে আমার ঘরে গাছ পরে ঘর ভেঙে যায়। ঘরের ভিতরের আসবাবপত্র ভাংচুর হয়। হাস মোড়গ মারা যায়, আমার প্রায় ২-৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। আমি পেশায় একজন রং মিস্তি, বর্তমানে বেকার জীবন যাপন করছি। আমার দুই মেয়ে বড়ো হয়েছে বিয়ে দেওয়ার মতো সামর্থ আমার নেই। এই মুহুর্তে ঘর করার মতো অর্থ আমার নেই, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভোলা-২ আসনের সাংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল এমপি ও বোরহানউদ্দিন পৌর মেয়র, পৌর ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাজউদ্দীন খানের দৃষ্টি আকর্ষণ করি যেন আমার ঘরটি করে দেন।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সোহেল হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং তান্ডবে বোরহানউদ্দিন উপজেলায় আংশিক ক্ষতি হয়েছে ১৩৮০ পরিবার ও সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়েছে ৪২০ পরিবার। এর মধ্যে বড়মানিকা ও হাসাননগর ইউনিয়নে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা ভোলায় প্রেরণ করেছি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।