ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং : ভোলায় ত্রাণ-সাহায্য না পাওয়ার অভিযোগ

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে ঘরচাপা পড়ে ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নে মফিজুল হক নামে এক বৃদ্ধ নিহত হলেও সরকারিভাবে কোন আর্থিক সহায়তা কিংবা ত্রাণ সামগ্রী পাননি বলে অভিযোগ করেছেন নিহত মফিজুল হকের বড় ছেলে মেঃ মহসিন। তিনি বুধবার ভোলার বাণী’কে বলেন, গত সোমবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে ঘরের ওপরে গাছ পড়ে ঘরচাপায় আমার বাবা সাইকেলের মেইকার মফিজুল হক মারা যান। আহত হন আরও দুই জন। অথচ গত ৩ দিনেও আমরা সরকারিভাবে এক টাকাও সাহায্য সহযোগিতা পাইনি।
তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ঘরচাপায় বাবা মারা যাওয়ার পর আমার চাচা রফিজল হক দুই বেলা ভাত খাওয়াইছেন। আর আজ (গতকাল বুধবার) পাশ্ববর্তী দিন ইসলাম ভাত খাওয়াইছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত প্রশাসনের কেউ কোন খোঁজ নেইনি।
সোমবার সকালে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দমকা হাওয়ায় ভোলা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে যুগীরঘোল এলাকায় গাছ উপড়ে পড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে মোঃ শহিদুল ইসলাম (৩২) নামের এক চায়ের দোকানীর বসতঘর। এতে দুমড়ে মুচড়ে যায় তার টিনের ছোট বসতঘরটি। অল্পের জন্য রক্ষা পান তার স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে। ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়া ক্ষতিগ্রস্ত শহিদুল ইসলাম (অপু) ও সরকারি কোন ত্রাণ-সহায়তা পাননি।
শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে আমার ঘর ভেঙে যাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা প্রশাসনের কেউ কোন খোঁজখবর নেন নি। আমি যুগিরঘোল এলাকায় ছোট একটি চায়ের দোকান করে সংসার চালাই। তরিকুল ইসলাম দোলন নামের একজনের জমিতে কোন রকমের টিনের ঘর তোলে তার ওই জায়গা পাহারা দেই। এখন আমার এই ঘর মেরামত করার মতো কোন টাকা নেই। তাই ঘরও মেরামত করতে পারছি না। খেতেও পারছি না। আমি এখন অসহায় হয়ে পড়েছি। আমার এলাকার লোকজন আমাকে ও আমার পরিবারকে খাওয়াচ্ছেন।
এ বিষয়ে ভোলা জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা এস এম দেলোয়ার হোসাইন বুধবার সন্ধ্যায় ভোলার বাণী’ কে বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এ মৃত ব্যক্তির দাফন কাঁপনের জন্য ২৫ হাজার টাকা দেব। তবে, আমরা এখনো মৃত ব্যক্তির নমিনি পাইনি। পেলে আমরা জেলা প্রশাসন থেকে চেক দিয়ে দিবো। আর শুকনো খাবারও দিয়ে দিবো। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর ও ব্যক্তির প্রাথমিক তালিকা পেলেও সরেজমিনে সঠিক তথয় পাওয়ার পর আমরা সেটা মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়ে দেব। এরপর সরকার যে সিদ্ধান্ত নিবেন সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।