কাগজে-কলমে উন্নতি ॥ ১শ’ শয্যার জনবল দিয়ে চলছে কার্যক্রম

নিজেই অসুস্থ্য ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল

দ্বীপজেলা ভোলাবাসীর একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল। কাগজে-কলমে ২৫০ শয্যা হলেও বাস্তবে ১০০ শয্যার জনবলেই চলছে হাসপাতালটি। সরজমিন ভোলা সদর হাসপাতালে (১৭ অক্টোবর) গিয়ে রোগী ও তাদের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায় নানা সমস্যায় হাসপাতাল নিজেই অসুস্থ্য।
দেখো গেছে, জরাজীর্ণ একটি ভবনে চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে, অন্যদিকে পাশেই পড়ে আছে আলিশান ভবন। ২৫০ শয্যা হাসপাতাল সাইনবোর্ড আর কাগজে-কলমে উন্নতি হলেও বাস্তবে কোন উন্নতি হয়নি দ্বীপবাসীর একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র সদর হাসপাতাল। ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালেই চলছে রোগীদের চিকিৎসা এবং সেই জনবলেই চলছে হাসপাতাল।


হাসপাতালের অফিস সূত্রে জানাযায়, ভোলা সদর হাসপাতালে ৫৮ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ২২ জন এবং ৩৭৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে আর খাবার পাচ্ছে মাত্র ১০০ রোগী। ভোলা সদর হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন উত্তর দিঘলদীর মোছলেহ উদ্দিন বলেন, আমরা গরীব মানুষ; আজ দুইদিন ভর্তি, খাবার পাচ্ছি না। এ সময় ফ্লোরে থাকা অন্য রোগীরা এসে বলেন, এই হাসপাতাল শুধু নামে, চিকিৎসা বা এই সংক্রান্ত কোন যন্ত্রপাতি কিছুই নাই। দ্রুত ভোলা সদর হাসপাতালের ২৫০ শয্যা কাগজে-কলমে না রেখে জনবল দিয়ে কার্যক্রম করার দাবী জানান রোগী ও স্বজনরা।
এ বিষয়ে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার লোকমান হাকিম বলেন, রোগী ৩৭৩ জন ঠিক আছে, কিন্তু বরাদ্দ মাত্র ১০০ জন রোগীর। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অন্য রোগীদের আমরা খাবার দিতে পারছিনা।
নতুন ভবন কেন উদ্বোধন হচ্ছে না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়টি আপনারাই ভালে জানেন, আমি যা যা করা দরকার করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছি এবং এ বিষয় নিয়ে এমপি স্যারের সাথে (আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ এমপি) বৈঠক করেছি, তার ছেলের সাথেও বৈঠক করেছি।
ডাক্তার লোকমান হাকিম আরো বলেন, কাগজে-কলমে ২৫০ শয্যা হলেও ১০০ শয্যার জনবলেই চলছে হাসপাতালটি। এ সময় তিনি ভোলার হাসপাতালটি দ্রুত চালু করার জন্য সমাজের সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।