ভোলায় নব্য বায়নাবাজ শফু-ফরিদের খুঁটির জোর কোথায় ?

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চর ভেদুরিয়া গ্রামের নব্য জমি বায়নাবাজ শফু মিয়া ও ফরিদ গাজীর খপ্পরে পরে নিঃস্ব তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙ্গনে সর্বত্র হারানো একটি পরিবার। নব্য এ বায়নাবাজ শফু-ফরিদের খুঁটির জোর কোথায় ?
সরজমিন ভেদুরিয়া লঞ্চঘাট সংলগ্ন হেতনার হাট গিয়ে ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, জমি নিয়ে তালবাহানা করাই হলো শ্যালক দুলাভাইয়ের কাজ। এক জমি দেখিয়ে বায়না নিয়ে কয়েক মাস পর ওই টাকা ব্যবহার করে আবার সেই জমির দাম বেশি হলে অন্য ব্যক্তিদের কাছে বিক্রি করেন।
তেঁতুলিয়া নদীতে সর্বত্র হারানো রশিদ মাঝির ছেলে আলামিন বলেন, আমি ফরিদ গাজী ও শফু মিয়া থেকে ১৬ শতাংশ জমি দর দাম করে বায়না করি। আমি বায়না করার পর শুনি ওই জমি আরো কম দামে অন্য একজনের কাছ থেকেও বায়না নিয়েছে শফু ও ফরিদ। পরবর্তীতে বাজার কমিটির লোকজন সেই বায়নার টাকা উঠিয়ে দিয়েছে।


আলামিন বলেন, আমার টাকা নিয়ে এখন জমি দিতে তালবাহানা করেন শফু ও ফরিদ গাজী। এটা নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে একাদিকবার শালিশ হলেও কোন সমাধান হয়নি। সর্বশেষ চেয়ারম্যান কামাল স্যার সমাধাণ করে দিসে টাকা আরো বাড়িয়ে সেটাও মানছে না শফু ফরিদ। আমার সাথে যে জমি বায়না হইছে সেই জমি না দিয়ে এখন অন্য জমি দিতে চাইছে শফু ও ফরিদ যেই জমির মূল্য বায়নাকৃত জমির চেয়ে অনেক কম।
এদিকে শফু মিয়ার বিরুদ্ধে স্থানীয় মসজিদের জমি দখল করার অভিযোগ ও করেছেন ফজলুর রহমান ফরাজী বাড়ীর জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক খোকন গাজী। এ বিষয়ে ফরিদ গাজীকে পাওয়া যায়নি, তবে তার ছেলে সামিম টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
শফু মিয়া ও টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি পিছনের জমি দিতে চাই তারা সেটা নিতে রাজী না তবে মসজিদের জমি দখলের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন যে অভিযোগ করছে ও একটা টাউট।
এ বিষয়ে ভেদুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, এই বিষয়টি আমি জানি। আমার উপস্থিততে আলামিন শফুদের জমির পুরো টাকা পরিশোধ করেছে, কিন্তু জমিটা আরো আগেই দলিল দেওয়ার কথা থাকলেও শফু দলিল না দেওয়ায় আলামিনরা আমার কাছে একাদিকবার এসেছে। আমি ব্যস্ত থাকায় যেতে পারেনি তবে আগামীকাল ঘটনাস্থলে যাবো। চেয়ারম্যান আরো বলেন, জমি ক্রয় করা আলামিনরা অনেক গরীব মানুষ, নদী বাড়ীঘর ভেঙ্গে গেছে আর সফু ফরিদ টাউট, তাদের শালিশ একাধিবার আমি করেছি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।