সর্বশেষঃ

উপার্জনের সম্বল পেয়ে নাহারের মুখে হাসির ঝিলিক

মোসা. নাহার। প্রায় ৬ বছর আগে সংসারে তিন সন্তান রেখে বজ্রপাতে স্বামী মারা যায় তার। এরপর থেকে অভাব-অনটনে চলে নাহারের সংসার। সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ জোগাতে ও সংসার চালাতে বিভিন্ন সময় মানুষের সহযোগিতা নিতেন তিনি। নাহার ভোলার লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের পাঙাশিয়া স্লুইজ এলাকার হাসেম দালাল বাড়ির বাসিন্দা।
নাহারের এমন অসহায় অবস্থা চোখে পড়ে লালমোহন প্রেসক্লাবের সভাপতি ও লালমোহন হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. রুহুল আমিনের। এরপর তিনি নাহারের উপার্জনের জন্য সেলাই মেশিন দেয়ার কথা ভাবেন। কথা মত, রোববার দুপুরে লালমোহন হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অফিস কক্ষে অসহায় নাহারের হাতে উপহার হিসেবে তুলে দেন একটি সেলাই মেশিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন- লালমোহন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম জনি।
উপহারের সেলাই মেশিন পেয়ে মোসা. নাহার বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে অনেক কষ্ট করে সংসার চালাতে হচ্ছে। শরীরেরও নানান রোগ বাসা বেঁধেছে। এই অসুস্থ শরীর নিয়ে পেটের দায়ে লালমোহন সদরের একটি ক্লিনিকে আয়ার কাজ করছি। বাসা থেকে আসা-যাওয়াতে ওই ক্লিনিকের দেয়া বেতনের বেশির ভাগ চলে যায়। তাই অনেক দিন ধরে চিন্তা করছি অন্য কোনোভাবে কিছু টাকা উপার্জন করতে পারলে সংসারের অভাব অনেকটা দূর হতো।
নাহার আরো বলেন, মেয়েকে সেলাইয়ের কাজ শিখিয়েছি। নিজেও টুকটাক সেলাইয়ের কাজ জানি। স্যার আমাকে একটি সেলাই মেশিন দিয়েছেন। এটি দিয়ে বাড়িতে সেলাইয়ের কাজ করে বাড়তি কিছু টাকা আয় করতে পারবো। আশা করছি এতে করে কিছুটা হলেও সংসারের অভাব দূর হবে। যা দিয়ে সন্তানদের নিয়ে আল্লাহর রহমতে ভালো থাকতে পারবো।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।