ভোলায় সংঘবদ্ধ অটোরিক্সা চোরচক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাঁদের কাছ থেকে চোরাই অটোরিক্সা, মালামাল ও চুরির যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহিন ফকির এর তত্ত্বাবধানে এসআই মোঃ গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে ভোলা সদর থানাধীন ভেলুমিয়া বাজার হতে সংঘবদ্ধ ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চোর চক্রের প্রধান আসামী নয়ন (২১) কে গ্রেফতার করা হয়। পরে গ্রেফতারকৃত আসামীর দেওয়া তথ্য মতে চোরাই ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা ও চুরির যন্ত্রপাতিসহ একই চক্রের বাকি ৩ আসামীকে গ্রেফতার করে ভোলা সদর মডেল থানা পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী মন্নান কারিকর (৫৫) গত সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভোলা সদর থানায় এসে লিখিত অভিযোগ জানান যে, গত ১৯/০৯/২০২২ ইং তারিখ সকাল সাড়ে ৮টায় তাঁর ছেলে প্রতিদিনের ন্যায় অটোরিক্সা নিয়ে মালামাল নেওয়ার জন্য ভোলা সদর মডেল থানাধীন ভোলা পৌরসভার শ্রী শ্রী মধন মোহন ঠাকুর জিউর মন্দিরের উত্তর পার্শ্বে কাঁচা বাজারে যায়। কাজ শেষে রাস্তার উপর অটোরিক্সা রেখে চা খাওয়ার জন্য চায়ের দোকানে যায়। চা খাওয়া শেষ করে একই তারিখ সকাল অনুমান পৌনে ৯ টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে দেখে যে অটোরিক্সা নেই। অতঃপর সে তাৎক্ষনিক ভাবে আশপাশে খোঁজাখুজি করে অটোরিক্সাটি না পেয়ে পুলিশের সহায়তা কামনা করেন।

বিষয়টি ভোলা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিপিএম,পিপিএম এর দৃষ্টিগোচর হলে তাঁর দিক-নির্দেশনায় ভোলা সদর থানা পুলিশ ব্যাপক তদন্ত শুরু করে এবং ২০ সেপ্টেম্বর ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চোর চক্রের প্রধান আসামী নয়নকে (২১) কে আটক করতে সক্ষম হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী জানায় যে, চোর চক্রটি বিগত কয়েক মাস যাবৎ কিং চাবী ব্যবহার করে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চুরি করে আসছে। তাদের ব্যবহৃত কিং চাবী দিয়ে যে কোনো ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সার লক খোলা সম্ভব। তারা চোরাই অটোরিক্সার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ খুলে আলাদা আলাদা ভাবে বিক্রয় করত। চোর চক্রটি অত্র চোরাইকৃত গাড়ী ছাড়াও বিগত দিনে আরো ১০টি অটোরিক্সা চুরি করেছে।

তার দেওয়া তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করত: চোর চক্রের সাথে জড়িত অন্যান্য ৩ আসামীদের সনাক্তপূর্বক গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন, ১।মোঃ নয়ন চাপরাশী(২১), সাং-পৌরবাপ্তা, ওয়ার্ড নং-১, ডোমপট্টি, ভোলা পৌরসভা, ২।মোঃ মিলন ফরাজী(২৮), সাং-বাপ্তা, ওয়ার্ড নং-৩, বোর্ডের ঘর, ৩।মোঃ সিদ্দিক মৃধা(২৮), সাং-চন্দ্রপ্রসাদ, ওয়ার্ড নং-৭, ভেলুমিয়া ইউপি, ৪।মোঃ লিটন হাওলাদার(২৫),সাং-চর রমেশ, ওয়ার্ড নং-০১, ভেদুরিয়া ইউপি, সর্ব থানা ও জেলা-ভোলা।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন ফকির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উক্ত চোর চক্রের সাথে অন্য কোনো চোর চক্র জড়িত আছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও থানার রেকর্ডপত্র ও সিডিএমএস পর্যালোচনা করে দেখা গেছে ধৃত আসামী নয়নের বিরুদ্ধে ভোলা সদর মডেল থানায় ইতিপূর্বেও চুরির মামলা রয়েছে।