লালমোহনে দাফনের ৯ দিন পর প্রতিবেশির মারধরে বৃদ্ধের মৃত্যুর অভিযোগ
মধ্যরাত : পর্ব-৯৪
![](https://bholarbani.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
ড. তাইবুন নাহার রশীদ (কবিরত্ন),
(গত পর্বের পর) : এতক্ষণ যেন সমস্ত কমন রুমটার কবিদের আলোচনায় সরগরম হয়ে উঠছিল। ছাত্র-ছাত্রীরা এসে উকি ঝুঁকি মারছিল। আমরা সকলেই চুপ চাপ হয়ে মন্ট্রিলের নিউজ পেপারটা দেখছিলাম। রাহাত খান ওর একটা ক্লাশ নিতে হবে বলে ম্যাগগিলে যাওয়ার জন্য বায়না ধরল। আমরা বললাম, তা দাদা এসেছেন যখন একটু চা খান, মাঝে মধ্যে আরও দাদাদের নিয়ে আসবেন।
ঋাল ভাল মূল্যবান তথ্য নিয়ে আলাপ আলোচনা করা যাবে। ওনি তাড়াতাড়ি চলে গেলেন। সেদিন ইউনিভার্সিটি থেকে এসে ডোরাকে চিঠি দিলাম। ডোরাকে ফোন করলাম। হ্যালো মিস্ ডোরা, ডোরার উচ্ছাসিত কণ্ঠের আওয়াজ ভেসে এল হ্যালো প্রশান্ত মনে পড়ল তোমার ? কেন ? তুমিওত ফোন করনা ? ডোরা বলল, নাতনীকে পেয়ে আমাকে ভুলে গেলে ? আমি বললাম, তুমি সুশান্তকে ফোন কর, উমাকে চিঠি দাও, কই আমাকেত তোমার মনে পড়েনা ? হ্যালো শোন দরকারী কথা। ডোরা বলল, তা আমি জানি দরকার বলেই আজ ফোন করেছ।
আমার বন্ধুরা তোমাদের ভার্জ্জিনিয়ায় বড়দিনে যেতে চায়। সকলেই বৌ সাথে করে মোটেলে থাকবে, তোমাকে জানাতে বলেছে। ডোরা বলল, ধন্যবাদ প্রশান্ত। তা তুমি কেমন আছ ? শরীর ভালত ? দোলা কেমন আছে ? তুমি বেড়াতে এস না ? আমার এখানে ? দোলাকে নিয়ে এস। ভারী জমা হবে। রাগ করেছ ? রাগ করোনা, মনটা মাঝে মাঝে বড় বিগড়ে যায়। আমি বললাম, বেঁচে থাকলে বড়দিনে আসতে চেষ্টা করব ? ধন্যবাদ বলে ফোন ছেড়ে দিলাম। মানুষকে দেখে মানুষের মনের বিচার করা যায় না। মন একটা রহস্যের অন্তরালে বাস করে। এই ডোরা একদিন আমার জন্য ব্যাকুল থাক, অস্থির থাকত, একদিন না দেখলে প্রশ্ন করে করে কৈফিয়ৎ তলব করত। আর আজ ? আজ তার কোন চৈতন্য-ই নেই, ভালবাসার কোন ব্যকুলতা নেই।
আমার আজ আর কোন পিপাসা নেই যৌবনের। মস্ত বড় এক কর্তব্য এসে আমার সামনে দাঁড়িয়েছে। এ কর্তব্য আমি কতটুকু সমাধা করতে পারব, নির্ভরতা দোলার আমার উপর আছে, কত আস্থা আছে, কতটুকু বিশ্বাস আছে, কতটুকু শ্রদ্ধা ভালবাসা তার আমার উপর ? জানিনা কোন মরীচিকার পিছনে আমি ছুটে চলছি। বড়দির শ্রদ্ধায়, ভালবাসায়, মর্যাদায় এ দায়িত্ব আমি হাসি মুখে গ্রহণ করেছি। ছোট বেলা মাকে হারিয়ে বড়দির আদরেই বড় হয়েছি। সেই বড়দির আদরের জিনিস আমি চাই ¯েœহে, মায়া-মমতায়, আদরে দোলাকে উপযুক্ত করে দিতে। জানি না দোলা তার কত সম্মান রাখবে। শ্যামল, কচ কে তার সমকক্ষ হবে, দোলা কার প্রতি বেশি অনুরক্ত, ভাবতে ভাবতে অনেক রাত হল।
(চলবে——–)