স্ট্যাম্পে আটকা ভোলার পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা

(ফাইল ছবি)

‘শেখ হাসিনার উদ্যোগে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এই স্লোগানে শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিতে কাজ করছে সংশ্লিষ্টরা। পিছিয়ে নেই ভোলা জেলা, যে জেলাকে লোডশেডিং মুক্ত ঘোষণা করেছে। যদিও ঘন্টার পর ঘন্টায় লোডশেডিং হয় দ্বীপ জেলা ভোলায়। মেঘনার ভাঙ্গন কবলিত ভোলায় পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের জিম্মি করে স্ট্যাম্প বাণিজ্য করার অভিযোগ উঠেছে ভোলার পরানগঞ্জ জোনাল অফিসের এজিএম আবদুল মালেকের বিরুদ্ধে।
সরজমিন ভোলা সদর উপজেলার ৪নং ওয়ার্ডের বেরিবাঁধ এলাকার জেলে পল্লীতে গিয়ে দেখা যায় এ যেন এক মরার উপর খাঁড়া ঘা। নুন আনতে পান্ত ফুরানো পরিবার আবুল কালামের। পেশায় একজন জেলে। থাকেন জেলে পল্লীতে। ছোট্ট ঘরে এক মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়ে যায় তাই পরানগঞ্জ জোনাল অফিসের লোকজন গিয়ে লাইন বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন। পূনরায় লাইন সংযোগ দিতে আবুল কালাম পল্লী বিদ্যুৎ এর পরানগঞ্জ জোনাল অফিসে যান। অফিসে গিয়ে দায়িত্বশীলদের সাথে কথা বললে তারা এজিএম আবদুল মালেক এর সাথে কথা বলতে বলেন। আবদুল মালেক প্রথমে লাইন সংযোগ দিতে অফিসিয়াল ফ্রি জমা দিতে বলেন। সেটা জমা দেওয়া পর একটি স্ট্যাম্প নিতে বলেন অফিসের নিচতলার সিড়ির সাথের দোকান থেকে। এক মাসের ১৩৫ টাকা বিল দিতে না পারা গ্রাহক কে দিয়ে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন এজিএম আবদুল মালেক। সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে চলে যেতে বলেন এজিএম আবদুল মালেক।
শুধু আবুল কালাম নয় একই ঘটনা ঘটেছে সাহাবুউদ্দিন, ফারুক, ইউসুফ, সুমনসহ অসংখ্য গ্রাহকের সাথে। যদিও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে স্ট্যাম্প কেনো নিচ্ছে এর কোন সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশ না করার সত্ত্বে পরানগঞ্জ জোনাল অফিসের মাঠকর্মী জানান স্ট্যাম্প নেওয়ার নিয়ম কখনই ছিলো না আর এটা আমাদের কোন নির্দেশনাও না তবে এজিএম আবদুল মালেক স্যার আসার পর থেকেই এই নিয়ম চালু হয়েছে।
এ বিষয়ে পরানগঞ্জ জোনাল অফিসে গিয়ে এজিএম আবদুল মালেক কে পাওয়া যায়নি তবে ডিজিএম আশিকুর রহমান এর কাছে স্ট্যাম্প নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন গ্রাহক যদি বকেয়া বিল দিতে ঝামেলা করে বা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে আমাদের কর্মীদের সাথে খারাপ আচরণ করে তখন স্ট্যাম্প নেওয়া যাবে গ্রাহক থেকে। তাহলে যে সকল গ্রাহকদের কাছ থেকে স্ট্যাম্প নেওয়া হয়েছে তারা সবাই কি ঝামেলা করছে ? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি চাকুরীর আগে সাংবাদিকতা করেছি ভাই, আমার এসব কথা রেকর্ড করার দরকার নাই। আপনারা আমার কাছে গ্রাহকদের নাম ঠিকানা দিয়ে যান খতিয়ে দেখবো।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।