সর্বশেষঃ

জলবায়ু বাস্তচ্যুতির সমস্যা মোকাবেলায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টেকসই বেরিবাধ নিশ্চিত করার আহবান

জলবায়ু বাস্তÍচ্যুতি মোকাবেলায় সবার আগে টেকসই উপকূলীয় সুরক্ষা অবকাঠামো নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা তারা বলেন টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা না গেলে নদী ভাঙ্গন রোধ করা কখনোই সম্ভব হবেনা এবং এই নদী ভাঙ্গন রোধ করা না গেলে বাস্তÍচ্যুতির সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় কোস্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মনপুরা উপজেলা পরিষদ সমে¥লন কক্ষে অনুষ্ঠিত “জলবায়ু পরিবর্তনজনিত উদ্বাস্তÍুদের জন্য চাই অধিকার ভিত্তিক সুরক্ষা নীতিমালা ও স্থানীয় ব্যবস্থাপনা জরুরী” শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা একথা বলেন।
বক্তরা বলেন, মেঘনার তীব্র ভাঙনের ফলে ক্রমেই ছোট হয়ে যাচ্ছে এই দ্বীপের মানচিত্র, প্রতিদিন ভিটে ও জমি হারা হচ্ছে শত শত মানুষ। নদী ভাঙনের কারণে সহায় সম্বল হারিয়ে ভিটে হারা এসব অসহায় মানুষগুলো আশ্রয় নেয় নতুন জেগে উঠা চরে অথবা বেড়িবাঁধের ঢালে কিংবা রাস্তার পাশে, আবার কেউ কেউ সহায় সম্বল হারিয়ে শহরমূখী হয় নিজের প্রিয় ভুমি ছেড়ে। তারা বলেন গত ৫ বছর আগেও মনপুরা উপজেলার আয়তন ছিলো প্রায় ৩৭৩ বর্গ কিলোমিটার বর্তমানে এর আয়তন ২৭৮ বর্গ কিলোমিটার অর্থ্যাৎ গত ৫ বছরে ভেঙ্গেছে ৯৫ বর্গ কিলোমিটার এবং গত ৫ বছরে বাস্তÍচ্যুত হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার মানুষ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশীষ কুমার রায়ের সভাপতিত্ব ও কোস্ট ফাউন্ডেশনের এম.এ. হাসানের সঞ্চলনায় উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান শেলিনা আক্তার চৌধুরী। এছারাও উপস্থিত ছিলেন ইলিয়াস হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, সাইয়িদ আহমেদ, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জেলা নাগরিক ফোরামের সহ-সভাপতি মামুন-অর রশীদ, আবদুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিক, মনপুরা প্রেস ক্লাব, সিজেআরএফ প্রকল্পের আতিকুর রহমান সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত জলবায়ু বাস্তÍচ্যুত মানুষের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, আশ্চর্য্যজনক হলেও সত্য যে অভ্যন্তরীণ বাস্তÍচ্যুতি’র মতো জাতীয় এই সমস্যাটি নিয়ে গবেষণা খুবই সীমিত, অঞ্চলভিত্তিক গবেষণাও তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী অভিযোজন কর্মসূচী গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে কৃষি, খাদ্যসুরক্ষা,পরিবর্তিত জলবায়ু উপযোগী কৃষি গবেষণা ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, টেকসই জলবায়ু বাস্তÍচ্যুতি ব্যবস্থপনা এবং উপকূলীয় সুরক্ষা অবকাঠামোর মতো অতিব গুরুত্বপূর্ণ অভিযোজন খাতগুলোতে গতানুগতিক বরাদ্দের পরিবর্তে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বরাদ্দ দিয়ে স্থানীয় উদ্যোগ গ্রহন ও বাস্তবায়নে উৎসাহিত করতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেলিনা আক্তার চৌধুরী বলেন, দুর্যোগের পরিমাণ বাড়ছে, সামনের দিনগুলোতে তা আরও বাড়তে পারে। ফলে বাস্তÍচ্যুতির সংখ্যাও বাড়ছে সরকার বদ্ধ পরিকর জলবায়ু বাস্তÍুচ্যুতদের সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে। এটা সত্য যে জলবায়ু বাস্তÍচ্যুতদের সঠিক কোন পরিসংখ্যান নেই, তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে এবং পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা আরো জোড়দার করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে আশীষ কুমার রায়, বলেন জলবায়ু বাস্তÍÍুচ্যুতির উপর স্থানীয় পর্যায়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে, প্রায় ৪০০ গৃহহীন পরিবারকে পূণর্বাসনের উদ্যোগ চলমান রয়েছে, আপনারা যারা গৃহহীন তালিকা দেবেন আমরা মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনে আরো চাহিদাপত্র পাঠানো হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।