ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ১ নং ওয়ার্ডের মফিজল ইসলামের (৭০) বসতঘর ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে ফয়জুল্ল্যার নেতৃত্বে আরও ৪০-৫০ জন বহিরাগত সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে। রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে মফিজল ইসলামের বসতঘর ভাংচুর করে। এ সময় ৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন। আহতরা হলেন মফিজল ইসলাম (৭০), মিজানুর রহমান (২২), তাছনুর বেগম (২৮)।
আহত মিজানুর রহমান বলেন, আমার বড় ভাই ইলিয়াস মোঃ বশির এর কাছ থেকে ৭ (সাত) শতাংশ জমি ক্রয় করে বাড়ী করার জন্য, বশির জায়গা বুজিয়ে দেওয়ার পর আমরা একটি টিনের ঘর তুলি আজ দুপুর ১২ টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে নাসরিন সহ ২ জন মহিলা এসে প্রথমে গালমন্দ করে। নাসরির মোবাইলে ফোন করলেই ফয়জুল্ল্যাহ সহ ৪০-৫০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে এলোপাতাড়ি মাইরধর ও বসতঘর কুপিয়ে ভেঙে তছনছ করে ফেলে। আমি ৯৯৯ ফোন করে জানাই পরে বোরহানউদ্দিন থানায় ফোন করি এই সময়ের মধ্যে সন্ত্রাসীরা পুরো বসতঘর টি ভেঙে ফেলে। আমাকে আর আমার বোনকে মারধর করে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা।
এ বিষয়ে জানতে ফয়জুল্ল্যাহর বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায় নি। তার স্ত্রী নাসরিনের সাথে হসপিটালে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মুল মালিকের জমি ১৪ শতাংশ, ইলিয়াস ৭ শতাংশ জমি ক্রয় করে। বাকি ৭ শতাংশ আমরা ক্রয় করি, কিন্তু ইলিয়াস আমাদের খরিদ করা জমিতে ঘর উঠালে, আমি জানতে গেলে, তার আমার উপর চওড়া হয়ে হমলা করে ঘর ভাংচুর করে।
এ বিষয়ে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনির হোসেন মিয়ার বলেন, তাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ থানায় অভিযোগ হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে, তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।