দৌলতখানের বিচ্ছিন্ন মদনপুরে শিক্ষক কালিমুল্লাই রাজা

ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার বিচ্ছিন্ন মদনপুর ইউনিয়নের বসবাসকারী বেশিরভাগই অশিক্ষিত। শিক্ষিত থাকলেও স্বল্প শিক্ষা অর্জন করেছে তারা। জীবিকা নির্বাহ করে কোন রকম দিনের পর দিন, বছরের পর বছর কাটান চারপাশে উত্তাল মেঘনা আর মাঝখানের চরে বসবাসকারী মদনপুরবাসী। ওই মদনপুরে যারা শিক্ষিত বা মাতাব্বর তাদের এক-তৃতীয়াংশই থাকেন ভোলা সদর বা দৌতলখান উপজেলায়। ওই বিচ্ছিন্ন মদনপুরে একটু চালাকচতুর যে হবে সেই রাজা। আর তেমনি একজন কালিমুল্লাহ্ মাষ্টার। মদনপুরের ৬৪নং চর টগবী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কালিমুল্লা। চালাকচতুর মাষ্টার নির্বাচন আসলে নিজেকে নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তাদের বন্ধুবান্ধব পরিচয় দিয়ে চরের আসন্ন জনপ্রতিনিধিদের দূর্বল করেন। একদিকে শিক্ষক মানুষ যে কোন অভিভাবক বা স্বল্প শিক্ষিত মানুষরা সহজেই বিশ্বাস করে আর এমনটাই কাজে লাগিয়েছে কালিমুল্লাহ মাষ্টার এমনই অভিযোগ মদনপুরের গত নির্বাচনের মেম্বার প্রার্থী আবুল কালামের।
আবুল কালাম সাংবাদিকদের জানান, বিশ্বাস করে আমাদের মদনপুরের শিক্ষক কালিমুল্লাহ মাষ্টারকে টাকা দিয়েছি ভোটার স্থানান্তর করার জন্য। কালিমুল্লাহ মাষ্টার নিশ্চিতও দিয়েছেন, কিন্তু নির্বাচনের আগে তালিকায় স্থানান্তর করা ভোটারদের নাম আসেনি। এরপর কালিমুল্লা মাষ্টার বলেছে একটি ঝামেলা হয়েছে অফিসে। কিন্তু যতবার টাকা চাইছি আর টাকা দেইনি। দেই দিচ্ছি বলেই শেষ।
১নং ওয়ার্ডের মেম্বার আলতাফ হোসেন (আলতু) বলেন, আমার আত্মীয় স্বজনের ৬টা ভোট পরিবর্তনের জন্য আমার কাছেও টাকা নিয়েছে, কিন্তু ভোটার স্থানান্তর করতে পারেনি, টাকা ও দেইনি। এসব বিষয়ে আপনাদের চেয়ারম্যানকে জানিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে আলতু মেম্বার বলেন, চেয়ারম্যান কে জানিয়েছি। তিনি বলেছে ও (কালিমুল্লাহ) ফটকা।
মদনপুর ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার শাহে আলম বলেন, আমার কাছেও টাকা নিয়েছে। পরবর্তীতে কাজ না হওয়ায় কালিমুল্লাহ্ মাষ্টার থেকে আমি টাকা ফেরত নিয়েছি। মেম্বার শাহে আলম আরো বলেন, আমার টাকা খাইতে পারে কালিমুল্লাহ ?
তবে অভিযোগের বিষয়ে কালিমুল্লাহ মাষ্টার বলেন, আমি ভোটার হালনাগাদ করছি; তবে টাকা পয়সা নেইনি। তাহলে আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে কেনো ? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি এসব জানিনা।
দৌতলখান উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি, করলে ব্যবস্থা নিবো। এ বিষয়ে মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন নান্নু কে ফোন দিলে রিছিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।