লালমোহনে দাফনের ৯ দিন পর প্রতিবেশির মারধরে বৃদ্ধের মৃত্যুর অভিযোগ
চোর আতঙ্কে ভোলার রাজাপুরবাসী
![](https://bholarbani.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
এই যেন চোর আসলো, এই যেন নিয়ে গেলো নিজের ঘরে জমানো মূল্যবান জিনিস পত্র এমন আতঙ্কে রাত কাটছে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন বাসীর। প্রতি রাতেই কারো ঘরে আবার কারো দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা প্রশাসনের নেই কোন তৎপরতা। জেলা পুলিশ চোর দমনে কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেও রাজাপুরে তেমন কোন তৎপরতা দেখা যাইনি।
গত এক সপ্তাহে ধরে রাজাপুর একের পর এক চুরির ঘটনা বেড়েই চলছে। সিসি ক্যামেরায় দুই চোর সনাক্ত করে ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানালেও কোন লাভ হয়নি বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
সূত্রে জানা যায় গত কয়েক দিনে রাজাপুরের মোঃ নাগর মাঝি দোকান, মোঃ খোকন এর দোকান, শেলিমের কসমেটিকের দোকান, দুলাল জমাদারের বাসা, মোশাররফ সিকদার, বশির অজি, ইসমাইল মৃধা, জামাল বয়াতি, জশিম ডাক্তার, আনোয়ার ডাক্তার, ইব্রাহিম হুজুরসহ নাম না জানা আরো অনেকের বাসা বাড়ী চুরির ঘটনা ঘটেছে।
আবুল হোসেন নামে এক স্কুল শিক্ষক জানান রাজাপুরের কারা চুরি করে এটা সবার জানা কিন্তু মুখ খোলার সাহস কেউ পাচ্ছে না। স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল চোরদের শেল্টার দিচ্ছে। যার জন্য চোর সনাক্ত করেও বিচার পাইনি।
সচেতন মহলের দাবী রাজাপুরের চোরেরা কি জনপ্রতিনিধিদের চেয়ে ক্ষমতাধর? সিসি ক্যামেরায় সনাক্ত করেও বিচার করতে পারেনি।
রাজাপুরের ভুক্তভোগীরা বলেন আমরা মনে করেছি রেজাউল হক মিঠু চৌধুরী চেয়ারম্যান হলে চুরি, জুয়াসহ সকল অপরাধ বন্ধ হবে কিন্তু জুয়া বন্ধ হলেও চুরি বন্ধ হয়নি।এজন্য চেয়ারম্যানের কঠোর ভুমিকা পালনের দাবী জানান রাজাপুরবাসী। রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল হক মিঠু চৌধুরীর বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি রিছিভ করেননি।
এ বিষয়ে ইলিশা ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম আজম বলেন, আমরা একদিন অভিযান করেছি চোর আটক করতে পারেনি আজকে আবার বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে চোরদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবো।
এ সময় সমাজের জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহলের সহযোগিতা ও চেয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।