বোরহানউদ্দিনে জমি সংক্রান্ত্র বিরোধে মামলা, আটক-১

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মাতব্বর বাড়ির আবদুল মতলব এর পুত্র মোঃ ইউনুস গংদের সাথে, দশআনি বাড়ির আলতাফ এর পুত্র মোঃ আমির হোসেন গংদের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
ইউনুস সাংবাদিকদের বলেন, ৫৪০/২০৭ খতিয়ানে মোট জমির পরিমাণ ৪০ শতাংশ, যাহা আমার পৈতৃক সম্পত্তি, আমার এই জমি নিয়ে আমির হোসেন গংদের সাথে বিরোধ নিয়ে মামলা চলমান, কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমির হোসেন গংরা জমিতে ঘর উত্তোলন করে গত ২৫/০৮/২০২২ ইং বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায়। আমি ঘর উঠাতে গেলে তারা বাঁধা দেয়, পরবর্তীতে পুলিশ এসে আমাকে ঘর উঠাতে নিষেধ করলে আমি ঘর উঠান থেকে বিরোধ থাকি। এখন শুনি আমির হোসেন গংরা আমাকে হয়রানির উদ্দেশ্য থানায় মামলা করেন। এখানে কোনো মারা মারি হয়নি। কিন্তু তারা মারা মারির ভান করে হসপিটালে ভর্তি হয়ে থানায় মামলা করেন। নিরপরাধ মনির কে গ্রেফতার করেন।
এ বিষয়ে আমির হোসেনের ছেলে রাকিবুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ জমি আমাদের। আমাদের কাছে সমস্ত কাগজপত্র দলিলাদি রয়েছে। ইউনুছ গংরা জোর করে জমি দখল করতে যান, তখন আমরা আমাদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দারকে বিষয়টি জানাই। চেয়ারম্যান আমাদের জমি সংক্রান্ত বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা করতেছেন। সালিশ চলা অবস্থায় ইউনুছ গংরা জনবল নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর উঠাতে গেলে আমরা তখন চেয়ারম্যান মহোদয়কে জানাই। চেয়ারম্যান মহোদয় চৌকিদারের মাধ্যমে ঘর উত্তোলন করতে নিষেধ করেন। পরবর্তীতে আমার মা ও আমার ভাইয়ের স্ত্রী আরজু বিবির উপর চওড়া হয়ে ইউনূসসহ তার লোকজন আমার মা ও ভাবির উপর হামলা করে। আমার ভাইয়ের স্ত্রী আরজু বিবি বাদী হয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে বড়মানিকা ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জাকির মাতাব্বরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তাদের এই ঝামেলা অনেক আগের। আমি কয়েকবার সালিশ করেছি, কাগজ পত্র বিবেচনা করে দেখা যাচ্ছে। ইউনুস জমি পায়, কিন্তু আমির হোসেন এটা মানতে না রাজ।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহিন ফকিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এক পক্ষ মামলা দিয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে একজন গ্রেফতার হয়েছে। নিরেপক্ষ তদন্ত করে যদি মনে হয় মামলা মিথ্যা তাহলে মামলা বাদ হয়ে যাবে আসামি খালাস পাবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।