সর্বশেষঃ

নিজের নবজাতক শিশুকে নিয়ে মা’র ছলচাতুরি কান্ড ॥ এলাকয় চাঞ্চল্য সৃষ্টি

৭ দিন বয়সি কন্যা শিশুকে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে দত্তক দেওয়ার অভিযোগ উঠে শিশুটির মা পারভিনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ভোলা সদর উপজেলার পুর্ব ইলিশা ৬ নং ওয়ার্ডের মনির বাঘার বাড়িতে ঘটে।
জানা গেছে, গত দশ দিন আগে জন্মনেয়া শিশুটির মা পারবিন ৭ দিন বয়সের সময় শিশুটির বাবা মনির বাঘা কে না জানিয়ে প্রতিবেশি শাহে আলম ফরাজির স্ত্রী পারবিনকে দত্তক দেয়ার কথা বলে। পারবিন দত্তক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করলে ৪০ হাজার টাকা রফাধফা করে দত্তক দেয় শিশুটিকে। পরে শিশুটিকে দত্তক দিয়েছে অস্বীকার করে শিশুটির মা প্রচার করে আমার বাচ্চাটি মারা গিয়েছে। শিশুটির মা এমন কথা প্রচার করলে কোথায় কবরস্থ করা হয়েছে এমন কথা উঠলে শিশুটির মা প্রতিবেশীদের বলেন, আমার বাবার বাড়ির বালুর মাঠে তাকে কবরস্থ করা হয়েছে। দত্তক নেয়া পারবিন শিশুটি নিয়েছেন তার নিঃশন্তানি মেয়ে রোজিনাকে দত্তক দেয়ার জন্য। পারবিন শিশুটি নিয়ে পার্শ্ববতি রাজাপুর এলাকায় রোজিনাকে দিয়ে আসেন।
এদিকে রোজিনার প্রতিবেশি একজন নববধু শিশুটির বাড়ির কাছে বেড়াতে আসলে শুনেন মনিরের একটি কন্যাশিশু জন্মনেয়ার সাতদিন পরে মারা গেছেন। এমন কথা মিথ্যা বলে নববধূ জানান, তার কন্যা সন্তান আমার শশুর বাড়ির কাছে জুয়েলের নিশন্তানি স্ত্রী রোজিনাকে দত্তক দিয়েছেন। তৎক্ষনাৎ কৌশল পাল্টিয়ে শিশুটির মা প্রচার করেন আমার শিশুটি চুরি হয়েছে। শিশুটির মা চুরির বিষয়টি চাপিয়ে দেন রোজিনার মা পারবিনের উপর। চুরির বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করলে পারবিনও তার স্বামী মনির গিয়ে রোজিনার থেকে শিশুটি ফেরৎ আনেন।
সরেজমিনে মনির বাঘার স্ত্রী পারবিন সাংবাদিকদের বলেন, আমার শিশুটি নিশন্তানি রোজিনার জন্য চুরি করে নিয়ে যায়। রোজিনা মা, আমি তিন দিন পরে আমার স্বামী সহ গিয়ে শিশুটি রোজিনার থেকে নিয়ে এসেছি। আপনি শিশু সন্তান চুরির বিষয়ে আইনি কোন পদক্ষেপ নিবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, পারবিন আমার কাছে যদি কোন কিচু দাবি করে তাহলে আমি আইনি ব্যাবস্থা গ্রহন করবো। আর কিচু দাবি না করলে আমার কোন আপত্তি নেই।
শিশুটি নেয়ার বিষয়ে পারবিন বলেন, মনিরের কণ্যা সন্তান বেশি বলে তার স্ত্রী আমাকে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশুটি দিয়েছে এবং প্রতিবেশীদের বলেছে শিশুটি মারা গেছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরে সে বলে আমি শিশুটি চুরি করেছি। সে শিশুটির বিষয়ে আমাকে কিচু না বলে আমার মেয়ে রোজিনার বাড়িতে গিয়ে শিশুটি নিয়ে এসেছে। সে আমাকে বললেও আমি শিশুটি এনে দিতাম। শিশুটির বিষয়ে আমার কোন দাবি নেই, তবে শিশুর উদ্দেশ্যে আমার থেকে নেয়া ৪০ হাজার টাকার দাবি করছি।
এ বিষয়ে ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ গোলাম আযম বলেন, আমাদের কাছে শিশুটির বাবা মনির আসে। তখন তাকে লিখিত অভিযোগ করতে বলা হলেও সে অভিযোগ করতে রাজি না হয়ে বলেন, আমরা গেলেই তারা শিশুটি দিয়ে দিবে বলেছেন। পরে শিশুটির বাবা আমাকে জানান, তারা তাদের শিশু সন্তান তাদের কাছেই আছে। শিশুটির বিষয়ে মনির ও পারবিনের কোন অভিযোগ নেই এমন ভিডিও বক্তব্য আমাদের দিয়েছেন তারা।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।