ভোলার মনপুরায় মৎস্যজীবিলীগ নেতা ইসমাইল ফরাজীর বাড়ির সামনে থেকে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ৪ টুকরো কাটা গাছ উদ্ধার করে বনবিভাগ। তিনি উপজেলা মৎস্যজীবিলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। ওই মৎস্যজীবিলীগ নেতা ক্ষমতার অপব্যবহার করে দীঘদিন ধরে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কেটে বিক্রি করেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বুধবার বিকেল ৪ টায় উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে জংলারখাল এলাকা সংলগ্ন ইসমাইল ফরাজীর বাড়ির সামনে থেকে কাটা গাছ উদ্ধার করা হয়। পরে ভ্যানযোগে উপজেলা বনবিভাগের সামনে নিয়ে আসে বনবিভাগের বনপ্রহরী বাহাদুর ও মোঃ ফারুক।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে ব্যবসা করে ইসমাইল ফরাজী। বিষয়টি বনবিভাগ জানলেও তার ক্ষমতার কাছে অসহায়। তাই বনবিভাগ কোন দিন তার বিরুদ্ধে মামলা করেনি।

স্থানীয়রা আরও জানান, এর আগেও জংলারখাল বাজারে ওই মৎস্যজীবিলীগ নেতা দোকান ঘর করে বনাঞ্চলের গাছ কেটে। তখন বনবিভাগ ওই গাছ ধরে ওল্টো বিপদে পড়ে। তারা তার ক্ষমতার কাছে তখন মামলাতো দূরে থাক ওই বনাঞ্চলের কাট গাছ রেখে আসতে বাধ্য হয়। পরে ওই কাটা গাছের তক্তা, রুপা ও বাগা বানিয়ে দোকান ঘরের কাজ করে ওই নেতা।

বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, গোপন খবরে পেয়ে বনবিভাগ ইসমাইল ফরাজীর বাড়ির সামনে অভিযান পরিচালনা করে। পরে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ৪ টুকরো সংরক্ষিত বনাঞ্চলে কেওড়া গাছ উদ্ধার করে নিয়ে আসে বনবিভাগ। ৪ টুকরো গাছের দাম ২০-৩০ হাজার হতে পারে বলে জানান বনবিভাগ।
অভিযুক্ত উপজেলা মৎস্যজীবিলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল ফরাজী ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করে জানান, সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ৪ টুকরো কাটা গাছের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। কে বা কাহারা তার বাড়ির সামনে রেখে গেছে তিনি বলতে পারেন না। তার বাড়ির সামনে কাটা গাছ পড়ে আছে বনবিভাগকে জানান নি কেন? এমন প্রশ্নের তিনি উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান।
উপজেলা মৎস্যজীবিলীগ সভাপতি আবুল কাশেম মেম্বার জানান, ব্যাক্তির দায় সংগঠন নেবে না।
উপজেলা বনবিভাগের রেঞ্চ কর্মকর্তা মোঃ মাইনুল জানান, সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কাটা গাছ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলার না হওয়ার ব্যাপারে কোন তদবির আছে কিনা বা কোন রাজনৈতিক চাপ আছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি কিছু বলেন নি। এছাড়াও ওই মৎস্যজীবিলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি তিনি বলতে রাজি নন।