আজ বোরহানউদ্দিনের বটবৃক্ষ মরহুম বশির আহমেদ মিয়ার ২১ মৃত্যু বার্ষিকী

ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, ও বোরহানউদ্দিন পৌরসভার প্রথম মেয়র, বড়মানিকা ইউনিয়ন পরিষদের ৩৮ বছরের চেয়ারম্যান, এক মানবিক মানুষের নাম বশির আহমেদ মিয়া। আজ তাঁর ২১ তম মৃত্যুবার্ষিকী।
ব্রিটিশ শাসনের শেষ ভাগে তাঁর জন্ম ১৯৪০ সালে।মাত্র ১৭ বছর বয়সে প্রথমে তিনি মেম্বার নির্বাচিত হন। বছর দুই পেরোতে না পেরোতেই আবার নির্বাচন।কিন্তু এবার মেম্বার নয়। এলাকাবাসী তাঁকে স্কুল থেকে ধরে এনে মিছিল সহকারে চেয়ারম্যান পদে টাকা দাখিল করে। বোরহানউদ্দিনের ইতিহাসে এটাও একটা বিরল ঘটনা। সেই যে শুরু সেখান থেকে বশির আহমেদ মিয়া এ সম্মান-ভালোবাসার শক্তিতে টানা ৩৮ বছর বড়মানিকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। জনগন তাঁদের প্রিয় মানুষ বশির আহমেদ মিয়ার চেয়ারম্যানের চেয়ার পরিবর্তন করেননি।তিনি ছিলেন বোরহানউদ্দিনের সর্ব কনিষ্ট চেয়ারম্যান। পৌরসভা হবার পর বোরহানউদ্দিন পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান(১৯৯৯-২০০০)হন। ১৯৭৮ সাল থেকে ২০০০ পর্যন্ত টানা ২২ বছর ক্লান্তিহীনভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।(তথ্যসূত্রঃ বোরহানউদ্দিনের ইতিহাস,পৃষ্ঠা-৬৬)
দল মত নির্বিশেষে এখনও বশির আহমেদ মিয়ার কর্মের উদাহরণ চলে আসে। উনি আজীবন একটি রাজনৈতিক দল করেছেন। কিন্তু সহবস্থানের রাজনীতির বাইরে কারো প্রতি প্রতিহংসা চরিতার্থ করতে দেখা যায়নি তাঁকে। তাঁর দল ক্ষমতায়, তিনি দলের সভাপতি এরকম বিশেষ ক্ষমতা নিয়েও তিনি কাউকে হামলা-মামলায় জড়িয়েছেন এটা সম্ভবত তাঁর প্রতিপক্ষও বলতে পারবেন না। আসলে আল্লাহ পাক কাউকে ক্ষমতা দেন না। সম্মান দেন। ক্ষমতা একমাত্র উপরওয়ালার। যারা এ সম্মানের মর্যাদা দেন, তাঁরা টিকে থাকেন মানুষের অন্তরে।
বশির আহমেদ মিয়া ভারতের এসকর্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ আগস্ট ২০০১ সালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তাঁর লাশ দেশে আসে। জানাজার নামাজ হয় বোরহানউদ্দিন হেলিপেডে । তিল ধারনের জায়গা নেই, তাকে শেষ বারের মতো দেখতে হাজারো মানুষের ঢল নামে জানাজায়।
মৃত্যু কালে তিনি তিন ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে যান।
তার বড়ো ছেলে, জসিম উদ্দিন হায়দার, বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বর্তমান বড়মানিকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
তার মেজো ছেলে জহির উদ্দিন আহমেদ, বড় মানিকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ছোট ছেলে রাসেল আহমেদ মিয়া, বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বোরহানউদ্দিন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, তার এক মেয়ে শিক্ষক আর দুই মেয়ে গৃহিণী সহ অসংখ্যা আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন রেখে সোখের মাতামে ভাসিয়ে দিয়ে তিনি চলে গেছেন ওপারে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।