অভিযোগের তীর ইউপি সচিব শফিকুলের দিকে

ভোলায় পাঁচ একর সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ

ভোলায় এক ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে বসতঘরসহ অন্তত পাঁচ একর জমি আত্মসাতের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। ওই সম্পত্তি ভোলার দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ছগির আহাম্মদের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদাউসের পৈত্রিক জমি। শনিবার (৩০ জুলাই) সকালে বাললাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) ভোলা জেলা শাখার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অসহায় গৃহবধূ জান্নাতুল ফেরদাউস লিখিত অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ২০০৮ সাল থেকে আমরা ভোলার দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস করে আসছি। আমার বাবা নেই। তিনি ২০০৮ সালে মারা গেছেন। বাবা মারা যাওয়ার পর আমরা ছয় বোন, তিন ভাই এবং আমাদের মাসহ সেখানে বসবাস করছি। আমার বাবা আমাদের সকল সম্পত্তি ওয়ারিশদের জন্য প্রায় পাঁচ একর তিন শতাংশ জমি রেখে গেছেন। যার মৌজা-জয়নগর এস,এ খতিয়ান নং-১৬৩, দাগ নং-৪৯/১৩৯/১৩৩/১১৫/১২৬। এছাড়াও বিভিন্ন মৌজায় আমার বাবা জমি ক্রয় করে গেছেন। কিন্তু ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের সচিব শফিকুল ইসলাম শফির নেতৃত্বে একটি চক্র আমাদেরকে সর্বশান্ত করার জন্য আমার বাবার নামে ভূয়া দলিল দিয়ে আমাদের প্রায় পাঁচ একর তিন শতাংশ জমি আত্মসাৎ করার পায়তারা করছে। ইতিমধ্যেই তারা আমাদের অনেক জমি দখল করে সেখানে ঘর ও ব্যবসায়ী দোকান তৈরী করে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন জান্নাতুল ফেরদাউস।
তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হলে আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। কিন্তু ভূমিদস্যু ওই চক্রটি আদালতের রায় উপেক্ষা করে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে জমিগুলো দখলের চেষ্টা করছে। তারা প্রশাসনকে ব্যবহার করছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ভোলার পুলিশ সুপারের কাছেও একটি আবেদন করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন গৃহবধূ জান্নাতুল ফেরদাউস। সংবাদ সম্মেলনে গৃহবধূ জান্নাতুল ফেরদাউসের বৃদ্ধা মা জীবন্নেছা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের সচিব শফিকুল ইসলাম শফি বলেন, সেখানে তাদের (জান্নাতুল ফেরদাউসের) কোন জমি নেই, দলিলও নেই। আমার দাদা আমাদের বাপ-চাচাসহ ৪ জনের নামে হেবা দিয়ে গেছেন। জান্নাতুল ফেরদাউস আদালত করলেও আদালত কোন রায় দেয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।