ভোলায় মোটরসাইকেল চোরের লিডার জিয়াসহ আটক-৭

ভোলার সদর থানা পুলিশ ১০টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ ট্যাম্পারিং (খোদাই করা) করে ইঞ্জিন ও চ্যাসিস নম্বর বসানোর যন্ত্রপাতি ও জাল কাগজপত্র উদ্ধার করেছে। এ সময় চোরের একটি সংঘবদ্ধ চক্রের ৭জন সদস্য আটক করেছে। এ চক্রের সঙ্গে বিআরটিএর একটি দালাল চক্র জড়িত আছে বলে পুলিশের ধারণা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ফরহাদ সরদার শুক্রবার বিকাল ৬ টায় পুলিশ সুপার মিলনায়তনে সংবাদসম্মেলনে লিখিতভাবে সাংবাদিদের এসব তথ্য জানান।
ফরহাদ সরদার বলেন, গত ২৮জুলাই ভোলার সদর উপজেলার ভেলুমিয়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. গোলাম মোস্তফা, এসআই মো. রাজীব হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও আসামী গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিলের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সংবাদ পেয়ে তাঁরা চোরাই মটরসাইকেল উদ্ধারের অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে মটরসাইকেল চোরাই চক্রের প্রধান মো. জিয়াকে আটক করে। তাঁর কাছ থেকে চোরাই মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন নম্বর, চেসিস নম্বর পরিবর্তনকৃত ভূঁয়া রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্র জব্দ করা হয়। তার বাড়ি ভোলার সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে। জিয়ার বাবার নাম আ. রহিম। মো. জিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে চোরাই মটরসাইকেলের বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়।


মো ফরহাদ সরদার আরো জানান, জিয়ার তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে চক্রের আরও ৬ সদস্যকে আটক করা হয়। যারা পেশাদার মোটরসাইকেল চোর। যাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রকৃয়াধীন রয়েছে। এসব আসামীদের কাছ থেকে ১০টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য অনুমান ১৫ লাখ টাকা। এছাড়া তাদের কাছ থেকে মোটরসাইকেল টেম্পারিং করে ইঞ্জিন ও চ্যাসিস নম্বর বসানোর যন্ত্রসহ ভুঁয়া কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
এএসপি আরো বলেন, আটককৃত চোর চক্রের সদস্যরা মটরসাইকেল চুরি করে লোহার ডাইসের সাহায্যে ইঞ্জিন নম্বর, চেসিস নম্বর বসিয়ে নতুন চেসিস নম্বর ও ইঞ্জিন নম্বরের ওপর বিআরটিএর দালালের মাধ্যমে ভুয়া রেজিষ্ট্রেশন পেপার তৈরী করে বিক্রি করতো। তারা এভাবে শুধু দেশীয় পুরাতন মোটরসাইকেল চুরি করতো না, ভারত থেকে কর ফাঁকি দিয়ে চোরাই পথে মোটর সাইকেল এনে নম্বর বসিয়ে কাগজ তৈরী করেও বিক্রি করতো। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- সদর উপজেলার ভেদুরিয়ার মোঃ জিয়া (২৬), আলীনগরের মো. সোহাগ (২৩), মোঃ রাসেল (৪৩), ভেদুরিয়ার মোঃ জাকির প-িত (৩৯), মো. সালাউদ্দিন (২৮), মো রাকিব (২৭), ও পশ্চিম ইলিশার মো. আলী আজগর (২৫), মোঃ রাকিব (২৭)। সংবাদসম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেনসহ পুলিশ কর্মকর্তারা।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।