সর্বশেষঃ

লালমোহনে দেবরের হামলায় হাসপাতালে ভাবি ও ভাতিজি

ভোলার লালমোহনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র দেবরের অতর্কিত হামলায় গুরুত্বর আহত হয়ে বরিশাল হাসপাতালে ঠাঁই হয়েছে ভাবি ও মাদ্রাসা পড়ুয়া ভাতিজির। রবিবার বিকেলে উপজেলার ধলীগৌরনগর ৬নং পশ্চিম চরমোল্লাজী গ্রামের মন্তাজ মিয়ার বাড়ি (বাচ্চুর বাড়ি) এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, ওই গ্রামের প্রয়াত বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী জুলেখা (৩২) ও তার কন্যা তানজিনা। দেবর মহিউদ্দিন ওই বাড়ির ফয়েজ আহমেদের ছেলে।
জুলেখার ভাই সাংবাদিক এমআর পারভেজ বলেন, ২০১০ সালে আমার এক ভাগ্নে ও এক ভাগ্নিকে রেখে চট্টগ্রামে দুর্ঘটনায় মারা যান দুলাভাই বাচ্চু মিয়া। এরপর থেকে দুই সন্তান নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই বসবাস করে বোন জুলেখা। তাই ওই বাড়ির জমিটুকু বোনের নামে রেকর্ড করিয়ে দিবেন বলে খরচের জন্য আমাদের কাছ থেকে দশ হাজার টাকা খরচ নেন জুলেখার শ^শুর ফয়েজ আহমেদ। এদিকে নিজেদের অর্থায়নে ওই বাড়িতে বোনের থাকার ঘরটি তৈরি করে দেই আমরা। তবে টাকা নিয়েও নিজের নামে ওই বাড়ির জমি রেকর্ড করিয়ে নেয় জুলেখার শ^শুর ফয়েজ আহমেদ এবং তার ছেলে মহিউদ্দিন কে ওই বাড়িতে জায়গা দেয়। এ ঘটনায় ভাগ্নি মনক্ষুন্ন হয়ে তার দাদাকে রেকর্ডের নামে প্রতারণা করার কারণ জিজ্ঞেস করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জুলেখার দেবর মহিউদ্দিন ও তার স্ত্রী জমেলা মিলে ভাগ্নিকে ব্যাপক মারধর করে এবং তাকে বাঁচাতে গেলে তার মা জুলেখাকেও ব্যাপক মারধর করে। আঘাতের ফলে জুলেখার হাতের তিনটি আঙ্গুল ভেঙে যায়।


পরে সংবাদ পেয়ে বোন ও ভাগ্নিকে উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের কে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল প্রেরণ করেন।
ভাবি ও ভাতিজিকে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি অস্বীকার করে মহিউদ্দিন বলেন, বাড়িতে মহিলাদের সাথে ঝগড়া হয়েছে। আমি বাড়িতে ছিলাম না।
এদিকে জমি রেকর্ড করিয়ে দেয়ার নামে প্রতারণার বিষয়ে জানতে চেয়ে মুঠোফোনে কল দিয়েও ফয়েজ আহমেদকে পাওয়া যায়নি।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, এ সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

You cannot copy content of this page