বোরহানউদ্দিনে শিশুকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, দাদি গ্রেফতার

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় তানিশা (৭) নামে এক শিশুকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে দাদি মনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার দেউলা ইউনিয়নের চরটিটিয়া গ্রামের মাঝি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। রোববার (২৬ জুন) সকালে নির্যাতনের দুটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে শিশুর মা মামলা করলে পুলিশ মনোয়ারাকে গ্রেফতার করে।
শিশুটির মা সোনিয়া বেগম বলেন, ছয় বছর আগে তানিশার বাবা মো. হারুনের সঙ্গে আমার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে মেয়ে আমার সঙ্গেই থাকত। দুই মাস আগে মেয়ের দাদি মনোয়ারা বেগম ভরণপোষণ দেবেন বলে নাতনিকে নিতে আসেন। আমিও ভবিষ্যতের কথা ভেবে মেয়েকে পাঠাই। কিছুদিন পর থেকে শুনতে পাই বিভিন্ন অজুহাতে তিনি আমার মেয়েকে নির্যাতন করেন।
তিনি আরও বলেন, গত বৃহস্পতিবার মোবাইল হারানোর অজুহাতে মেয়ের মাথার চুল ধরে এলোপাতাড়িভাবে মাটিতে আছাড় মারতে থাকেন মনোয়ারা। লোহার প্লাস দিয়ে তার ডান হাতের আঙুল টেনে জখম করেন। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে দিনভর মারতে থাকেন।
এ সময় স্থানীয়রা এ ঘটনার দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করেন। পরে আমাকে খবর দিলে আমি গিয়ে বাঁধা অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। সে এখন সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন ফকির বলেন, মোবাইল ফোন হারানোর অভিযোগে শিশুকে অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত মনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।