লিসবনে “সপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন” এর আনন্দমুখর উদযাপন

উৎসব মুখর পরিবেশে বাংলাদেশ দূতাবাস, লিসবনে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উদযাপিত হয়েছে। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি উদযাপন উপলক্ষ্যে দূতাবাস প্রাঙ্গণে একটি আনন্দমুখর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এরপর একটি উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা ঐতিহাসিক পদ্মা সেতু নির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতা এবং অর্জন নিয়ে আলোচনা করেন। একইসাথে বক্তারা বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নতিতে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত জনাব তারিক আহসান তাঁর বক্তব্যের শুরুতে পানি প্রবাহের দিক দিয়ে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী পাদ্মার ওপর সেতু নির্মাণের দু:সাধ্যতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর প্রথম মেয়াদের শেষপ্রান্তে ২০০১ সনে পদ্মা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। বিভিন্ন প্রতিকূলতার পর তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১২ সনে তিনি বাংলাদেশের নিজ অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন। বাংলাদেশের প্রথিতযশা পুর-কৌশলীগণসহ বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞদের কারিগরি তত্ত্বাবধানে ২০১৫ সনে টেন্ডারের মাধ্যমে নির্বাচিত চীনা নির্মাণ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পাইলিং স্থাপনের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর প্রথম বাস্তব নির্মাণকাজ শুরু হয়। সাত বছর পর এই সেতুর কাজ সফল সমাপ্তিতে তাই দেশবাসী আনন্দে উচ্ছ্বসিত।
দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত দেশের এক তৃতীয়াংশ এলাকা রাজধানী ঢাকার সাথে সড়ক পথে যুক্ত হবার কথা উল্লেখ ক’রে তিনি বলেন, পদ্মাসেতুর উদ্বোধন বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে এক নতুন মাত্রাই শুধু যোগ করার পাশাপাশি মানুষের জীবনমান উন্নয়নে এক ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখবে। তিনি মন্তব্য করেন যে, বিদেশী অর্থায়ন ছাড়া এই কঠিন প্রকল্পটির সফল সমাপ্তি বাংলাদেশের জনগণকে রপকল্প ২০৪১ অনুসারে ২০৪১ সনের মধ্য একটি উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ গড়ার কাজে আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে। দেশের মানুষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সালাম জানাচ্ছে তাঁর সাহসিকতা আর সংকল্পের দৃঢ়তার জন্য যার ফলেই বাংলাদেশ তার ৫১ বছরের ইতিহাসের এই অন্যতম প্রধান সাফল্য অর্জন করল আর জনগণ তার দীর্ঘ-লালিত স্বপ্ন পূরণ করল। আলোচনা সভা শেষে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে নির্মিত প্রতিপাদ্য সংগীত এবং বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এর পর দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া/প্রার্থনা করা হয়।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।