সর্বশেষঃ

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে পণ্য

লালমোহনের মোল্লা আইসক্রিমের প্রতারণা!

ভোলার লালমোহনের সওদাগর চৌমুহনীর মোল্লা আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতে দরজা-জানালা বন্ধ করে মোড়ক পাল্টে তৈরি করা হচ্ছে নানা নামের আইসক্রিম। মোল্লা আইসক্রিমের ফ্যাক্টরি লালমোহনে হলেও নানা নামের আইসক্রিমের গায়ে লেখা রয়েছে বিভিন্নস্থানের কথা। যার মধ্যে কয়েকটি আইসক্রিমের গায়ে লেখা রয়েছে ফ্যাক্টরি পটুয়াখালীর বাউফল ও সিলেটের মেন্দিবাগে। সচেতন মহল মনে করছেন এটি মোল্লা আইসক্রিমের একটি ভয়ঙ্কর প্রতারণা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রশাসনের চোখে বৃদ্ধাঙ্গুলী দিয়ে কারখানার দরজা-জানালা বন্ধ করে রাত-বিরাতে তৈরি হচ্ছে এসব নাম সর্বস্ব অবৈধ ও অস্বাস্থ্যকর পণ্য। এছাড়াও দেখা যায় শিশুদের জন্য তৈরি পানীয়তে মেশানো হচ্ছে ক্ষতিকর রঙ। যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর।
নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, গত কয়েক বছর ধরে মোল্লা আইসক্রিম ফ্যাক্টরি দরজা-জানলা বন্ধ করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তাদের পণ্য উৎপাদন করে আসছে। চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদের পণ্যও বিক্রি করা হচ্ছে। আর এসব আইসক্রিম বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের কোমলমতি শিশুরা খাচ্ছে। যা শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এসব পণ্যের মান নির্ণয় করা উচিত। মোল্লা আইসক্রিমের পণ্যে যদি ক্ষতিকর কোনো উপাদান থাকে তাহলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী স্থানীয়দের।
এব্যাপারে মোল্লা আইসক্রিম ফ্যাক্টরির মালিক মো. সিরাজ মোল্লা বলেন, ঢাকা থেকে আমরা আমাদের নামের আইসক্রিমের বক্স বা প্যাকেট অর্ডার করি। তবে সেখানে এসবের ঘাটতি থাকলে তারা অন্য নামের বক্স বা প্যাকেট আমাদের দেয়। তাই আমরা ওই নামেই পণ্য তৈরি করতে বাধ্য হই। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আইসক্রিম তৈরির বিষয়ে জানতে চাইলে সিরাজ মোল্লা বলেন, টিউবওয়েলের পানি দিয়েই আমরা আইসক্রিম তৈরি করি। যতটুকু সম্ভব আমরা স্বাস্থ্যসম্মতভাবে আইসক্রিম উৎপাদনের চেষ্টা করি।
এব্যাপারে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পল্লব কুমার হাজরা বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে পড়েছে। শিগগিরই আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজনসহ জনস্বার্থে এসব আইসক্রিম ফ্যাক্টরিগুলোতে অভিযান পরিচালনা করবো।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।