মধ্যরাত : পর্ব-৭২

ড. তাইবুন নাহার রশীদ (কবিরত্ন),

(গত পর্বের পর) : আমি যেন তন্ময় হয়ে ভাবছিলাম কতকথা। হঠাৎ কচ বলল, নমস্কার আসি। আমি কল্পলোকে থেকে এই পৃথিবীর মঞ্চে ফিরে এলাম। দোলা বলল, দাদু তুমি ¯œান করবেনা, যাও তাড়াতাড়ি সেরে এস। আবার সুশান্ত দাদু ¯œান করবে না ? আমি বললাম, তাইত। দোলা টেবিল ছেড়ে চলে গেল। উমা রান্নার জোগার দেবার জন্য দোলাকে ডাকল। দোলা বলল, আমি আসি উমাদি। দোলা রান্না ঘরে গেল। আমি ¯œান করতে গেলাম। ভাবছিলাম ছেলেটির কথা এত সুন্দর করে ভগবান সৃষ্টি করেছেন। যেন তার নিজের হাতের গড়া, কুমারেরা যেরকম নিখুত করে প্রতিমা গড়ে তেমনি, কোথাও যেন একটু খুত নেই। আশ্চর্য্য।
কচ যেন আমার চোখে মুর্তিমান উষা হয়ে ধরা দিল। ¯œান করে খেতে খেতে উমা বলছিল সুশান্তকে, কচ ছেলেটি কিন্তু দেখতে বেশ না ? দোলা একবার মুখ তুলে মুখ নীচু করে খেতে লাগল। সুশান্ত বলল, হঠাৎ কচ এর কথা তুলছ কেন ? উমা বলল, এমনি পাশের বাসা থেকে নিমন্ত্রণ করতে এলকি না ? সাথে ভদ্র মহিলার দেবর এসেছিল তার নাম কচ ও তাই বলছিলে ? হ্যাঁ ছেলেটিকে প্রায়ই দেখি ইউনিভার্সিটিতে যেতে আমার সাথে প্রায়ই দেখা হয় পথের মাঝে। বড় ভদ্র ও ন¤্র সুশান্ত বলল, তা নিমন্ত্রণে যেতে হবেত ? প্রতিবেশী সব সময়ই চোখা চোখি হয়।
উমা বলল, উপহার দেবার কিছুই কেনা হয়নি। সুশান্ত যাওনা আজত ৯টা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকবে। উমা বলল, চলনা কিছু পছন্দ সই কেনা কাটা করে আনি। সুশান্ত বলল, আমার সময় হবে না। দোলাকে নিয়ে যাও। দোলা বলল, না দাদু আপনিই যান। সেদিনের মত কথা সেখানেই ঠিক থাকল। কখন যে উমা উপহার কিনে এনেছিল জানি না। দুতিন দিন পর বলল, উমা প্রশান্ত দা কাল থেকে আমাদের কিন্তু কচদের বাড়ীতে এ বেলা, ওবেলা নিমন্ত্রণ রয়ে গেছে। আমি হেসে উঠলাম ও তাইত আমরাত ভুলেই যাচ্ছিলাম। দোলা যাবে না ? উমা বলল, বাড়ীর সকলের নিমন্ত্রণ। দোলা বলল, তোমরা সকলে যাও, আমি বাড়ী থাকি। আমি বললাম সেকি ? তুই যাবি নে ? উমা একটা সুন্দও শাড়ী পড়েছিল কাঁচা হলুদ রংয়ের। সেদিন বোধহয় হলুদের দিন ছিল। দোলা একটি হলুদ সিল্ক, হাতে হলুদ কাঁচের চুরী, কানে হলুদ পাথরের দুল পড়েছিল। প্রকান্ড রাশিকৃত চুল সেদিন শ্যাম্পু করে ছেড়ে দিয়েছিল। যেন ওকে অদ্ভুত লাগছিল অপরূপ সুন্দর লাগলিছ।

(চলবে———-)

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।