সর্বশেষঃ

দৌলতখানে নৌকার জয়ের পথে বড় বাধা বিদ্রোহী প্রার্থীরা

আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিত ভোলার দৌলতখান উপজেলায় দুটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। তাই জনসংযোগ ও সভা সমাবেশের মাধ্যমে চেয়ারম্যান, মেম্বার, সংরক্ষিত আসনের মহিলা প্রার্থীরা তাদের উন্নয়নের পরিকল্পনা তুলে ধরছেন ভোটারদের কাছে। দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি। এমনকি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কেউ মেরে ধরছেন অতীতের উন্নয়নের ঢালা। কেউ-বা সুযোগ চাচ্ছেন নতুন করে সেবা করার। দুটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে। মোড়ে মোড়ে নির্বাচনী ক্যা¤প রয়েছে প্রার্থীদের। এসব নির্বাচনী ক্যা¤েপ কর্মী-সমর্থকেরা আড্ডা দিচ্ছেন। কেউবা মাইকে গান বাজিয়ে নির্বাচনী প্রচার করছেন। তবে দুই ইউপিতে নৌকার প্রার্থীদের জয়ের পথে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন নিজ দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৯ জন। তার মধ্যে আট স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাঁরা উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা এবং ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। হাজীপুর ইউনিয়নেও নৌকার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী দৌলতখান পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি। এত বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলেও নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর ইউপিতে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মালেক মাস্টার। তিনি সৈয়দপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন মুন্সী মোহাম্মদ ওবায়েদুল্লাহ রতন (কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা অটোরিকশা শ্রমিক লীগের সভাপতি), ফরহাদ হোসেন লাভু (উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক), আব্দুল মোতালেব সবুজ (সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি), জসিম উদ্দিন (উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক স¤পাদক), মো. ফিরোজ আলম তালুকদার (উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক স¤পাদক), মো. সিরাজ তালুকদার (সৈয়দপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক), মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ (হাতপাখা), মুন্সী জাফর উল্লাহ রাবিন (কোনো দলীয় পদ নেই)। অন্যদিকে হাজীপুর ইউপিতে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. হামিদুর রহমান টিপু। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. আবি আব্দুল্লাহ কিরণ পাটোয়ারী। তিনি উপজেলা পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম খান বলেন, সব প্রার্থী নিজেদের মতো প্রচার চালাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। উপজেলার সেয়দপুর ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২২ হাজার ও হাজীপুর ইউনিয়নে ৩৪০০।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।