বোরহানউদ্দিনে রক্ষক যখন ভক্ষক

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মক্কার পোল নামক স্থান থেকে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে বন বিভাগের মাঠ কর্মী, মোঃ নাজমুল হকের বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, গাছগুলোই ১৯৯৭-৯৮ সালে বনবিভাগ ও বনায়ন সমিতির সমন্বয়ে লাগানো হয়েছে। বনবিভাগের লোকজন ২তিন দিন আগে দালাল বাজারের কাঞ্চন মোল্লা নামক গাছ বেপারীরে নিয়া এসে গাছ দেখিয়ে যান। আজ আবার দেখি বেপারীর লোকজন এসে গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে কাঞ্চন মোল্লা বেপারীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফরেস্টারের লোক নাজমুল স্যার কাটতে বলছেন তাই কাটছি, দুই ছেও নিয়েছি তিনি যদি বলে ফেরত দিয়ে যাবো।
মাঠ কর্মী নাজমুল হকের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, গাছটি শুয়ে পরেছে তাই কাটছি, আমরা সংরক্ষণ করে রাখবো। বেপারী গাছ নিয়ে গেছেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তাদের কাটার খরছ বাবদ তারা নিয়েছেন।
এলাকাবাসীর সাথে কথা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক লোক বলেন, গাছটি কাঞ্চন মোল্লার কাছে ৬০০০টাকা দামে বিক্রি করছেন ফরেস্টারের লোক নাজমুল হক। তারা আরো বলেন, কিছু দিন আগে আমাদের গাছের ঢাল আমরা কেটেছি, কিন্ত সরকারি গাছ দাবি করে, আমার কাছ থেকে ৫০০টাকা নিয়েছেন তিনি।
ভোলা উপকূলীয় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম কায়সার এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো: আমিনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া সরকারি কেউ গাছ কর্তন করতে পারবেন না। তাছাড়া অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা সম্পূর্ণ বেআইনি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।