সর্বশেষঃ

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাদ থেকে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু, গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতম

ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ান প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমাম হোসেনের মৃত্যুতে তার গ্রামের বাড়ি ভোলার লালমোহনের পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের কলেজপাড়া এলাকায় চলছে শোকের মাতম। গত বৃহস্পতিবার সকালে বিশ^বিদ্যালয়ের ৭ তলা থেকে নিচে পড়ে মারা যায় শিক্ষার্থী ইমাম হোসেন। শুক্রবার সকালে গ্রামের বাড়িতে ইমাম হোসেনের লাশ আনা হলে তাকে এক নজর দেখতে ছুটে আসেন তার সহপাঠি, আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকার মানুষ। পরে ডা. আজহার উদ্দিন ডিগ্রী কলেজ মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে ইমাম হোসেনের লাশ দাফন করা হয়। নিহতের বাবা-মাসহ স্বজনদের গগণ বিদারী আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে ওই এলাকার আকাশ-বাতাস।


জানা যায়, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ৩-৪ বছর আগে ঢাকায় যায় ইমাম হোসেন। সেখানে গিয়ে এশিয়ান প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হন। হয়ে উঠেন ওই বিশ^বিদ্যালয়ের একজন মেধাবি ছাত্র। দায়িত্ব পালন করেন সাইবার সিকিউরিটি ক্লাবের সভাপতির। নিজের দক্ষতা আর মেধার কারণে বেশ কয়েকবার পুরস্কার পেয়েছেন সরকারীভাবে। ব্যবসায়ি পরিবারের সন্তান ইমাম হোসেন। দুই ভাইর মধ্যে বড় সে। অন্য মানুষের তুলনায় ইমামের বা পা এবং হাতে সমস্যা ছিল। যার জন্য কিছুটা প্রতিবন্ধি হয়ে পড়ে সে। তবুও শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ইমাম হোসেনকে দমিয়ে রাখতে পারেনি।
নিহত ইমামের চাচা মো. জুয়েল বলেন, কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা আমরা জানিনা। শুনেছি কলেজের ৭ তলা বিল্ডিং থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে কেন সে আত্মহত্যার পথ বেচে নিয়েছে, কে দায়ী এর জন্য? তাদের খুঁজে বের করতে হবে।
ইমামের বাবা বাহার পাটোয়ারি বলেন, আমার ছেলে অনেক মেধাবি ছিল। তার স্বপ্ন ছিল সে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হবে। কেন ছেলের এমন হলো। তার মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।