ভোলায় খেয়া নৌকার ব্যবসার আড়ালে ইয়াবা ব্যবসা !
দ্বীপজেলা ভোলার সাথে সহজ যোগাযোগ মাধ্যম হলো নৌপথ। দৌলতখান উপজেলার বিছিন্ন ইউনিয়ন মদনপুরে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। ভোলা সদরের নাছির মাঝি থেকে ছোট ট্রলারের (খেয়ার নৌকা) প্রতিদিন ভোলা-মদনপুর-নোয়াখালী নৌপথে চলাচল করে আসছে। এ খেয়া নৌকার মাঝি ছিলেন মো. বশির। মাঝি থেকে যোগদেন ঐ খেয়ার ইজারাদার হিসেবে। এ থেকেই আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বশির মাঝিকে। মদনপুর একটি বিছিন্ন ইউনিয়ন চরাঞ্চল হওয়ায় এ সুযোগটিই কাজে লাগায় বশির মাঝি। নিজেকে বড় নেতা পরিচয় দিয়ে শুরু হয় বশির মাঝির ইয়াবা বিক্রিসহ নানা অপকর্ম।
বশির মাঝির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে এ ঘাট দিয়ে নোয়াখালী থেকে আসা বড় বড় ইয়াবার চালানগুলো দৌলতখানের মনদপুর হয়ে নির্বিঘেœ ভোলা সদরে যেতে সহায়তা করতেন। এক সময় সে নিজেই ইয়াবা সেবন ও ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। এ থেকে অল্প কয় বছরের ব্যবধানে খেয়ার মাঝি থেকে হয়ে উঠেন কোটিপতি। বিভিন্ন সময়ের অজুহাতে নিজের ইচ্ছেমত মানুষকে জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেন এই বশির মাঝি।
বশির মাঝি নিজের ইচ্ছে মতে এই রুটে সিরিয়াল পরিচালনা করেন। কেউ এর প্রতিবাদ করলে নানাবিধ হয়রানি করতো বশির মাঝি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। গত এক সপ্তাহ আগে নাছির মাঝি ঘাটে এক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে মোঃ কালু (২০) পিতাঃ আঃ মালেক মদনপুর ইউনিয়ন থেকে ফেরার পথে ৫ পিচ ইয়াবাসহ স্থানীয় লোকজন আটক করে। পরে বশির মাঝি তাদের সাথে রফাদফা করে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় লোকজন বলেন, স্থানীয় দুলু মাঝির ছেলে বশির মাঝি অল্প দিনে কোটি টাকার মালিক হয়ে যাওয়ায় ঘাটে কাউকেই পাত্তা দেন না। তার নিজের ইচ্ছেমত চলতো খেয়া। মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায়সহ নানা অপকর্ম করে বেড়াতেন বশির মাঝি। বশির তার খেয়ার মাঝিদের দ্বারা কয়েক বছর ধরে ট্রলারে মাধ্যমে নোয়াখালী থেকে মদনপুর হয়ে ভোলায় বিভিন্ন ধরনের মাদক আনার নেয়ার কাজ করে আসছেন।
এ ব্যাপারে ব্যক্তিগত নাম্বারে যোগাযোগ করলে বশির মাঝি বিষয়টি এড়িয়ে যান। ভোলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক সফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি শুনেছি, অচিরেই তদন্তসাপেক্ষে তার বিরুদ্ধ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।