চরের খাস জমি বন্দোবস্ত না দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে প্রভাশালীরা, অভিযোগ ভূমিহীনদের

মনপুরায় উপকূলে বিভিন্ন চরে খাস জমি পাচ্ছে ১ হাজার ভূমিহীন পরিবার

ভোলার বিচ্ছিন্ন মনপুরা উপকূলে প্রতি বছর রাক্ষুসে মেঘনার ভাঙ্গনে ভিটে-মাটি হারিয়ে ভূমিহীন হয়ে পড়া এক হাজার পরিবারের মাঝে তিন চরে খাস জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহন করেছেন উপজেলা ভূমি বন্দোবস্ত বাস্তবায়ন কমিটি। এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা সহকারি ভূমি কমিশনার ও ইউএনও মোঃ শামীম মিঞা। এদিকে বিভিন্ন চরে প্রভাবশালীদের দখলে থাকা হাজার হাজার একর জমি যাতে ভূমিহীনদের মাঝে বন্দোবস্ত দিতে না পারে তারও ষড়যন্ত্র করছে প্রভাবশালীরা এমন অভিযোগ মেঘনার ভাঙ্গনে ভিটে-মাটি হারা ভূমিহীন পরিবারের সদস্যদের।

ভূমিহীন রিকসা চালক জব্বার, বশির, দিনমজুর মামুন, ছালাহ উদ্দিন, ফয়েজ, বিধবা মনোয়ারা, খাদিজা সহ অনেকে অভিযোগ করে জানান, মেঘনার ভাঙ্গনে ভিটে-মাটি হারিয়ে বাঁধের ওপর ও অন্যের জমিতে ঘর উঠিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। যখনই আমাদের খাস জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহন করা হয় তখনই প্রভাবশালীরা ষড়যন্ত্র শুরু করে। প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে খাস জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার দাবী তাদের।
ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিচ্ছিন্ন সোনার চর, চর ইসলাম ও উত্তর চর ফৈজুদ্দিন মৌজায় ১ হাজার ভূমিহীনদের বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে উপজেলা ভূমি অফিস বন্দোবস্ত প্রক্রিয়া দ্রুত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালে সাবেক ভূমি প্রতি মন্ত্রী বর্তমান ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদ ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপিসহ ১ হাজার ভূমিহীনদের মাঝে ভূমি বন্দোবস্ত প্রক্রিয়া উদ্বোধন করেন। এর পর প্রভাবশালীদের ষড়যন্ত্রে ওই বন্দোবস্ত প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। এবার ফের উদ্যোগ গ্রহন করলে আবারও প্রভাবশালীরা ষড়যন্ত্র শুরু করছে বলে অভিযোগ ভূমিহীনদের।
সরেজমিনে দিনে ও রাতে ভূমি অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, অসহায় গরীব ভূমিহীন পরিবারগুলো ভূমি অফিসে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে থেকে ফরম জমা দিচ্ছে। জমাকৃত ফরম যাচাই-বাছাই করছে অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রাতভর অফিসে অবস্থান করে সহকারি ভূমি কমিশনারকে কাজ করতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা ভূমি বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য ও আ’লীগ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা ভুমি বন্দোবস্ত কমিটি কাজ করে যাচ্ছি।
এ ব্যাপারে সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ইউএনও মোঃ শামীম মিঞা বলেন, সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে উপজেলা ভূমি বন্দোবস্ত কমিটির সাথে সমন্বয় করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। বিচ্ছিন্ন তিন চরে এক হাজার ভূমিহীন পরিবারের মাঝে খাস জমি বন্দোবস্তা দেওয়া প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।