পর্তুগাল এর রাজধানী লিসবনে ইউরোপের বৃহত্তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত

পর্তুগাল এর রাজধানী লিসবনে ইউরোপের বৃহত্তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। কামারা মিউনিসিপ্যাল এর অনুমতি সাপেক্ষে হোটেল মুন্ডিয়াল এর পাদদেশে প্রাসা দ্যা মাতৃমমনিজ এর দৃষ্টি নন্দন খোলা পার্কে প্রায় ৫০০০ মুসুল্লির সমাগমে আয়োজিত হয় ইদুল ফিতরের জামাত।

প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও ঈদের জামাতে অংশ গ্রহন করেন বিভিন্ন দেশের অভিবাসী মুসলিমগন।
সকাল ঠিক ৮ টায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রান মুসল্লিগন।
লিসবনের বাইতুল মুকাররম জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবু সাঈদ ঈদের জামাতে ইমাম এর দ্বায়িত্ব পালন করেন, তিনি বাংলা ও পর্তুগিজ ভাষায় মোনাজাত করেন এবং বিশ্ব উম্মার শান্তি কামনা করেন।
এছাড়াও লিসবন, পর্তু, মিল ফন্তেস সহ অন্যান্য স্থানেও অনুষ্ঠিত হয়েছে ইদের জামাত।
মাতৃমমনিজ এর বৃহত্তম এই ইদের জামাতে অংশ গ্রহন করেন লিসবন দূতাবাসের মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব তারিক আহসান সাথে ছিলেন দ্বিতীয় সচিব আব্দুল্লাহ আল রাজী এবং আলমগীর হোসাইন ও দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তাগন। উক্ত জামাতে নামাজ আদায় করেছেন পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব জহিরুল আলম জসিম, বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টারের সভাপতি জনাব রানা তাসলিম উদ্দিন সহ ব্যবসায়ী, পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিক বৃন্দ এবং অন্যান্য পেশার মানুষ।
নামাজ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত পর্তুগাল সরকার কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুসলমানদের সর্ববৃহৎ এ ধর্মীয় উৎসব এ অনুমতি প্রদান করার জন্য পাশাপাশি তিনি পর্তুগাল এ বসবাসরত সকল বাংলাদেশিদের ইদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে জনাব জহিরুল আলম জসিম পর্তুগাল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পাশাপাশি জনাব রানা তাসলিম উদ্দিন, কামারা মিউনিসিপ্যাল ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইউরোপের বৃহৎ এই আয়োজন এর সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য।
নামাজ শেষে ইদের কোলাকুলি ও রাস্তার দুপাশে চায়ের আড্ডা ছিলো চোখে পড়ার মত মনে হয়েছিল যেন প্রবাসের বুক জুড়ে বিস্তৃত বাংলাদেশ।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।