সর্বশেষঃ

দৌলতখানে সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের মুখে হাঁসি

দৌলতখানে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে এ বছর কৃষকের মুখে হাঁসি ফুটেছে। এ উপজেলায় এ বছর ১৫০ হেক্টর জমিতে কৃষকরা হাইসান-৩৩ ও বারি-২ জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, দৌলতখানে চলতি মৌসুমে ১৫০ হেক্টর জমিতে ভোজ্য তেল উৎপাদনের লক্ষ্যে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। সূর্যমুখী চাষের ৯০ থেকে ১০৫ দিনের মধ্যেই কৃষকরা বীজ ঘরে তুলতে পারবেন। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোন প্রকার ক্ষতি না হয় তাহলে প্রতি বিঘা জমিতে ছয় থেকে সাড়ে ছয় মণ সূর্যমুখী ফুলের বীজ পাওয়া যাবে।


দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের কৃষক আলাউদ্দিন, হারুন, খোকন, মেদুয়া ইউনিয়নের কৃষক রুহল আমিন তাদের জমিতে সূর্যমুখী আবাদ করে লাভবান হয়েছেন। তাদের সাফল্য দেখে এলাকার অন্যান্যও কৃষকরাও সূর্যমুখী চাষে ঝুঁকছেন। সূর্যমূখী ফুলের চাষ নিয়ে আশাবাদী কৃষি কর্মকর্তারাও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ছয় থেকে সাত ফুট লম্বা সুর্যমুখী গাছে ফুল ফুটে আছে। ফুলের সৌন্দর্য ছড়িয়ে পড়েছে চারপাশে। সুর্যমুখী ফুল দেখতে প্রতিদিনই আসছে বিভিন্ন বয়সী মানুষ। উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের কলাকোপা গ্রামের কৃষক আলাউদ্দিন বলেন, ৫০ শতাংশ জমিতে তিনি এ বছর কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে লাভবান হয়েছেন। সূর্যমুখী চাষে খুব বেশি পরিশ্রম হয় না। শুধু বীজ বপণে একটু শ্রম দিতে হয়। এরপর দেখভাল করলেই চলে। মেদুয়া ইউনিয়নের কৃষক রুহল আমিন বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে তিনি ৩০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেন। কৃষি অফিস থেকেই তাকে বীজ দেওয়া হয়েছিল। সূর্যমূখীর ফলন খুবই ভালো হয়েছে। তাই লাভও ভালো হয়েছে তার।


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়েরা ছিদ্দিক জানান, চলতি বছর দৌলতখান উপজেলায় ১৫০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। এ বছর সূর্যমুখী চাষীদের বিনামূল্যে সূর্যমুখী ফুলের বীজ বিতরণ এবং কৃষি অফিস থেকে নানা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাই সূর্যমুখী চাষীরা অনেক লাভবান হয়েছেন। এ উপজেলায় গত বছরের চেয়ে এ বছর সূর্যমুখীর চাষ বাড়ছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।